Sujay Krishna Bhadra

‘কালীঘাটের কাকু’র অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল হাই কোর্ট, নজর রাখতে বাড়ির বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী

সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধির উপর নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই বাহিনী নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বলে অভিযোগ জানান ‘কালীঘাটের কাকু’।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৭
Share:
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। — ফাইল চিত্র।

অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি হল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র। আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল কলকাতা হাই কোর্ট। চিকিৎসার জন্য তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ প্রায় এক মাস বৃদ্ধি করল আদালত। এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

সুজয়কৃষ্ণের গতিবিধির উপর নজরদারির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। সেই বাহিনী নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বলে অভিযোগ ‘কালীঘাটের কাকু’র। সুজয়ের বক্তব্য, তাঁর ব্যক্তিগত শৌচাগারে পর্যন্ত ঢুকে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। আদালতে তাঁর আইনজীবী জানান, বাড়িতে নজরদারি চালাতে তাঁর মক্কেলের শৌচাগার ব্যবহার করা হচ্ছে। সারা ক্ষণ এসি চালিয়ে বসে থাকছেন বাহিনীর জওয়ানেরা। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, কোনও ব্যক্তির উপর নজরদারি চালাতে গেলে তাঁর বাড়িতেই থাকতে হবে বাহিনীর জওয়ানদের। ফলে আশ্রয়-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস প্রয়োজন বাহিনীর।

‘কালীঘাটের কাকু’কে স্বস্তি দিয়ে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহরায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বাড়ির দরজার বাইরে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। বাড়ির বাইরে অস্থায়ী নির্মাণ করা হবে। সেখানে জওয়ানদের বসার এবং থাকার জায়গা থাকবে। গরমে জওয়ানদের জন্য পাখার বন্দোবস্ত করতে হবে। উচ্চ আদালত আরও জানায়, সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে চিকিৎসক এবং আত্মীয়েরা যেতে পারবেন। ব্যাঙ্কের এক জন কর্মীকেও প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।

Advertisement

সুজয়ের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। জামিনের বেশ কিছু শর্তও দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও কারণে তিনি বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না। রাজনৈতিক ব্যক্তি বা বাইরের কারও সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারবেন না। তাঁর উপর সব সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি থাকবে। নজরদারি চালাবেন নিয়োগ মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের আধিকারিকেরাও। সুজয়কৃষ্ণের দু’টি মোবাইল নম্বর সিবিআইকে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কোনও সময়ে বাইরে বেরোতে হলে সিবিআইয়ের কাছ থেকে তাঁকে অনুমতি নিতেও বলা হয়েছিল। জামিনের পর থেকে বেহালার বাড়িতে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। সেখানে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

গত শুক্রবার জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সিংহরায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাঁর আইনজীবী। আদালতের নির্দেশে তাঁর বাড়িতে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের আচরণ নিয়েও আপত্তি তুলেছিলেন তিনি। সোমবার সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুজয়ের অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল উচ্চ আদালত।

নিয়োগ মামলায় ২০২৩ সালে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে একই মামলায় তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement