রাজ্য লিগাল এড অথরিটি (আইনি সহায়তা কেন্দ্র বা সালসা)-র ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট। — ফাইল ছবি।
হাঁসখালিতে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তার পরেও এখনও ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি নির্যাতিতার পরিবারকে। এ নিয়ে রাজ্য লিগাল এড অথরিটি (আইনি সহায়তা কেন্দ্র বা সালসা)-র ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট।
সালসার আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘রাজ্য লিগাল এড অথরিটি আরও দায়িত্বশীল হবে বলে আশা করি। কিছু অস্পষ্ট শব্দ বলে বিষয়টি ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। দায়সারা ভাবে কাজ হয় না! আপনাদের জন্য কত মানুষ ভুগছেন, সেটা আগে দেখুন!’’
ওই আইনজীবী জানান, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পেশের সময় দেওয়া হোক। যা শুনে প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘এত গুরুত্বপূর্ণ মামলায় কেন আপনারা কর্তৃপক্ষের জবাব না নিয়ে আসেন? এ নিয়ে সাহায্যের জন্য সরকারের নির্দিষ্ট প্রকল্প রয়েছে। তার পরেও মানুষকে আদালতের দিকে চেয়ে বসে থাকতে হয়। কখন আদালত নির্দেশ দেবে, আর তার পর আপনারা ক্ষতিপূরণ দেবেন।’’
ওই আইনজীবীকে ২৪ ঘণ্টা সময় দেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তাঁর নির্দেশ, মঙ্গলবার ফের লিগ্যাল সার্ভিসেসকে আদালতে এসে জানাতে হবে, তারা নিজেদের কর্তব্য কতটা পালন করেছে।
হাঁসখালির ঘটনায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তাতে নির্যাতিতার পরিবারের জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবিতে হাই কোর্টে আবেদন করা হয়। সোমবার ওই মামলাটির শুনানির ছিল। মামলকারীর আইনজীবীর অভিযোগ, হাঁসখালির ঘটনায় তরুণীর পরিবারকে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। অথচ প্রাথমিক ভাবে রাজ্যের বেঁধে দেওয়া ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির। সোমবার এই মামলাটির শুনানির সময় লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির আইনজীবী শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। তা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে উচ্চ আদালত।