গত ৭ জুন গ্রেফতার করা হয়েছিল রোদ্দূরকে। ফাইল চিত্র।
বিতর্কিত ইউটিউবার রোদ্দূর রায় (নিজের নামের এই বানানই লেখেন রোদ্দূর)-এর মামলা খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শম্পা সরকারের একক বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে মামলাটি। কিন্তু রোদ্দূরের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
পুলিশের বিরুদ্ধে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রোদ্দূর। উচ্চ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত এফআইআর খারিজের আবেদন করেছিলেন ইউটিউবার।
কিন্তু, মামলার সময় তাঁর আইনজীবীই উপস্থিত না থাকায় মামলাটিকেই খারিজ করে দেয় আদালত।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেটমাধ্যমে আক্রমণ করতে গিয়ে ‘কু-কথা’ বলার অভিযোগ ওঠে রোদ্দূরের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে কলকাতার একাধিক থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। হেয়ার স্ট্রিট থানায় এমনই এক অভিযোগের ভিত্তিতে চলতি বছরের ৭ জুন রোদ্দূরকে গোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
যদিও কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে রোদ্দূর-প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর সম্পর্কে কোনও মন্তব্যের জন্য গ্রেফতার হননি রোদ্দূর। বরং তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। রোদ্দূরের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়। দাঙ্গা লাগানোর অভিপ্রায়ে উসকানি দেওয়া, বিভিন্ন ধর্মীয়, জাতিগত, ভাষাগত সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা বাধানোর চেষ্টা, অন্যের সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করা, মহিলাদের সম্ভ্রমহানির অভিপ্রায় এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারা (১৫৩, ১৫৩এ, ৫০১, ৫০৫, ৫০৯, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৪, ৪৭১, ১২০বি)-য় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আগে সব মামলায় জামিন পান রোদ্দূর। গত ২৭ জুন ইউটিউবারকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির করানো হলে তাঁর বিরুদ্ধে বটতলা থানায় রুজু হওয়া মামলায় অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দেন বিচারক। পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ ছিল, জাতীয় পতাকার অপমান করার জন্য রোদ্দূরকে ভিডিয়ো করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তারও আগে পাটুলি আর লেক থানার মামলায় রোদ্দূরকে অন্তর্বর্তিকালীন জামিনের নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। হেয়ার স্ট্রিট থানার মামলাতেও জামিন পান ইউটিউবার।