বেআইনি কয়লা কারবারের অভিযোগে গত জুলাই বারিককে গ্রেফতার করে সিআইডি।
অবৈধ কয়লা কারবারে অভিযুক্ত আবদুল বারিক বিশ্বাসের জামিন আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। বুধবার বিচারপতি শম্পা দত্তপালের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় তদন্ত অনেকটা এগিয়েছে। এখনই অভিযুক্ত জামিন পেলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। এ ছাড়া অন্য মামলাতেও অভিযুক্তের নাম সামনে এসেছে।
বেআইনি কয়লা কারবারের অভিযোগে গত জুলাই বারিককে গ্রেফতার করে সিআইডি। বুধবার আদালতে তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, বারিককে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪১ ধারায় কোনও নোটিস দেওয়া হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি ৬ অভিযুক্ত জামিন পেয়েছেন। এর পরেও মামলাকারীকে গ্রেফতার করে সিআইডি। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী কিশোর দত্ত এবং রুদ্রদীপ্ত নন্দীর সওয়াল, বারিকের অপরাধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় স্তরে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত। তিনি যে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, সেখানে কয়লা প্রয়োজন। সেই সূত্রেই অবৈধ কারবার চলত।
এর আগে সিআইডি দাবি করেছিল, বসিরহাটের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত বারিক। ২০১৪ সালে ৪৫ কেজি সোনা পাচার করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। ইডি বারিকের প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এমনকি গরু পাচারের সঙ্গেও তিনি জড়িত বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।