viral video

ময়লা ফেলার পাত্রে শিশুকে ভরে খেলনার মতো দোলালেন ‘ডে-কেয়ার’ কর্মী! ভিডিয়ো দেখে নিন্দার ঝড়

ঘটনাটি তামিলনাড়ুর একটি ‘ডে-কেয়ারে’র ঘটনা। ডে-কেয়ার হল একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যবস্থা, যেখানে কর্মজীবী বাবা-মায়েরা শিশুদের দিনের বেলা দেখাশোনা ও তত্ত্বাবধানের জন্য রেখে আসেন। তবে ঘটনাটি কবে ঘটেছে তা ভিডিয়োয় স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৫ ১৩:৩২
Share:
two daycare staff members putting a toddler inside a dustbin

ছবি: সংগৃহীত।

১৮ মাসের একরত্তি শিশু। তাকে ময়লা ফেলার একটি পাত্রের মধ্যে ঢুকিয়ে ক্রমাগত ঝাঁকিয়ে ঝাঁকিয়ে দোলাচ্ছেন দুই তরুণী। কখনও আবার শিশুসমেত মাটিতে ময়লা ফেলার পাত্রটি রেখে গড়িয়ে দিচ্ছেন এক তরুণী। ভয়, আতঙ্কে চিৎকার করে কেঁদে উঠছে শিশুটি। তাতেও হুঁশ ফেরেনি তরুণীদের। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে শিশুটিকে নিয়ে চলতে থাকে এই উৎকট মজা। সমাজমাধ্যমে ভিডিয়োটি প্রকাশিত হতেই শিউরে উঠেছেন নেটাগরিকেরা। পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে ঘটনাটি তামিলনাড়ুর একটি ‘ডে-কেয়ারে’র ঘটনা। ডে-কেয়ার হল একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যবস্থা, যেখানে কর্মজীবী বাবা-মায়েরা শিশুদের দিনের বেলা দেখাশোনা ও তত্ত্বাবধানের জন্য রেখে আসেন। তবে ঘটনাটি কবে ঘটেছে তা ভিডিয়োয় স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার আগে পর্যন্ত শিশুটির বাবা-মা নির্যাতনের সম্পূর্ণ অনবগত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা এখন ডে-কেয়ার সেন্টারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় শিশু কল্যাণ বিভাগও এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ক্ষোভের আঁচ পেয়ে প্রশাসন ডে-কেয়ার সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছে।

ছোট ছোট শিশুদের দায়িত্বে থাকা এই কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে দর্শক। নেটমাধ্যম ব্যবহারকারীরা ডে-কেয়ার কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মর্মান্তিক এই ভিডিয়োটি দেখার পর ডে-কেয়ার সেন্টারগুলির নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিশুদের যত্ন ও দেখাশোনা বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ভিডিয়োটি ‘ঘর কা কলেশ’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement