গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রাথমিকে নিয়োগের মামলায় ওএমআর শিট বা উত্তরপত্রের তথ্য উদ্ধার করতে অন্য সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই সার্ভারের মূল তথ্য উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বার তারা অন্য সংস্থা নিয়োগ করুক। আগামী ছ’সপ্তাহ পরে এই মামলার শুনানি।
একই সঙ্গে বিচারপতি মান্থা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত প্রথম সারির সংস্থাগুলির সাহায্য নিক সিবিআই। সেগুলি উইপ্রো কিংবা টিসিএস-এর মতো সংস্থাও হতে পারে বলে জানান বিচারপতি। এমনকি বিশেষ প্রয়োজনে ওই তথ্য খুঁজে পেতে বিশ্বের যে কোনও সংস্থাকে নিয়োগ করার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় ওএমআর শিটের তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা উদ্ধার করা জরুরি। আদালত জানায়, তথ্য উদ্ধারের জন্য যে খরচ হবে, তা বহন করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং রাজ্য সরকার।
গত মঙ্গলবার প্রাথমিকের নিয়োগে ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইয়ের কাছে অরিজিনাল সার্ভার বা হার্ড ডিস্কের তথ্য চেয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ওএমআর শিট স্ক্যান করে কোথায়, কোন হার্ড ডিস্কে রাখা হয়েছিল, শুক্রবার আদালতের কাছে সেই বিষয়ে তথ্য জমা দিতে হবে সিবিআইকে। কিন্তু শুক্রবার সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, তারা ওই তথ্য জমা দিতে পারছে না।
২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে বলে হাই কোর্টে আগেই জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাদের বক্তব্য ছিল, আসল প্রতিলিপি নষ্ট করা হলেও পরিবর্তে তার ডিজিটাইজ়ড তথ্য রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তারাই ওএমআর শিট স্ক্যান করেছে। এর আগে ওএমআর শিট সংক্রান্ত এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পর এই মামলায় সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। মঙ্গলবার আদালতে ওএমআর শিট নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে ওই রিপোর্টে সন্তুষ্ট হয়নি উচ্চ আদালত।