বিচারপতি অমৃতা সিংহ। — ফাইল চিত্র।
১৪ বছর আগে পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ফলপ্রকাশ হয়নি। তা নিয়েই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ডিভিশন বেঞ্চ আগেই ফলপ্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিল। বেঁধে দিয়েছিল সময়ও। হাই কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বাকি মাত্র দু’দিন! মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশে জানান, আগামী তিন দিনের মধ্যেই মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ফলপ্রকাশ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে গ্ৰুপ ডি-তে তিন হাজার শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। ওই বছরই পরীক্ষা হয়। প্রায় এক লক্ষ চাকরিপ্রার্থী ওই পরীক্ষায় বসেছিলেন। অভিযোগ, সেই পরীক্ষার ফল এখনও বার করেনি কমিশন। ১৪ বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু এখনও ফলপ্রকাশ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন চাকরিপ্রার্থীরা। মামলা করেন হাই কোর্টে। গত ১৩ জুন হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কমিশনকে তিন মাসের মধ্যে ফলপ্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য আর মাত্র দু’দিন বাকি। অভিযোগ, এখনও ফলপ্রকাশ করার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি কমিশনের তরফে।
এই আবহেই কমিশন গ্ৰুপ ডি-তে নিয়োগের জন্য নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে আবারও হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীরা। হাফিজুল হক-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী হাই কোর্টের মামলা করেন। তাঁদের বক্তব্য, গত ৫ অগস্ট নতুন করে নিয়োগ করতে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কমিশন। অথচ আদালতের আগের নির্দেশ মেনে এখনও পর্যন্ত ফলপ্রকাশ করা হয়নি।
মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিংহের পর্যবেক্ষণ, ‘‘একটি পরীক্ষার ফল বার করতে কী ভাবে ১৪ বছর সময় লাগতে পারে?’’ কমিশনের উদ্দেশে বিচারপতির কটাক্ষ, গত ১৪ বছর ধরে পরীক্ষার ফল বার করা গেল না! কারচুপি করতে কি এত সময় লাগে? বিচারপতি সিংহের মন্তব্য, ‘‘তিন হাজার শূন্যপদের জন্য এক লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। সেখান থেকে অনেক টাকা পেয়েছেন। আগে কমিশন ওই ফল বার করুক, তার পরে আদালত তাদের বক্তব্য শুনবে।’’ আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই কমিশনকে ফলপ্রকাশ করতে হবে।