প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সড়কের উপর বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। ওই নির্দেশ না মানায় হাওড়ার জেলাশাসক-সহ তিন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে রুল জারি করল উচ্চ আদালত। শুক্রবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, হাওড়ার জেলাশাসক, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক এবং পিডব্লিউডি-র সহকারী ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে রুল জারি করা হল। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁদের আদালতে সশরীরে হাজির হতে হবে এবং জানাতে হবে, তাঁরা কেন কোর্টের নির্দেশ মানেননি।
বেআইনি ভাবে উলুবেড়িয়ায় রাজ্য সড়ক দখল এবং নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছিল স্থানীয় কয়েক জনের বিরুদ্ধে। তা নিয়েই হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন সুব্রত মণ্ডল নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী। ২০১৯ সালে হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের একক বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, বেআইনি ভাবে ওই নির্মাণটি তৈরি হয়েছে কি না, সড়ক কর্তৃপক্ষ তা খতিয়ে দেখবেন। তদন্তে উঠে আসে, নিয়ম মেনে ওই নির্মাণ করা হয়নি। এর পর মামলাটি ওঠে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে। তিনি ওই নির্মাণটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাস্তা জবরদখলে অভিযুক্ত পক্ষ। ডিভিশন বেঞ্চও একক বেঞ্চের রায় বহাল রাখে। কিন্তু তার দু’বছর কেটে যাওয়ার পরও আদালতের নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। গত বছর জুন মাসে মামলাটি ওঠে বিচারপতি মান্থার বেঞ্চে। কেন সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা দায়ের হবে না, তার উত্তর চায় হাই কোর্ট। অবশেষে শুক্রবার হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর না করার জন্য ওই তিন জনের বিরুদ্ধে রুল হল।
মামলকারীর আইনজীবী শুভ্রাংশু পাণ্ডা বলেন, ‘‘প্রথমে একক বেঞ্চ এবং তার পর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ না মানার কারণে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলাম। তারই প্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তিদের ডেকে পাঠিয়েছেন বিচারপতি। এত দিন পরেও তাঁরা কেন নির্দেশ মানেননি তা জানতে চাইবে আদালত।’’