গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নার বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করতে গিয়েছিলেন এক বিজেপি নেতা। আর্জি জানিয়েছিলেন, জরুরি ভিত্তিতে শোনা হোক মামলাটি। কিন্তু তাঁর সেই আর্জি শোনা মাত্র বাতিল করল হাই কোর্ট। সোমবার মামলাটি ওঠে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু জরুরি ভিত্তিতে মামলাটি শোনার আর্জি জানাতেই বিচারপতি সপাট জানিয়ে দেন, এই মামলার দ্রুত শুনানি কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।
রাজভবন চত্বরে জারি থাকা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে ধর্না কর্মসূচি চালানোর অভিযোগ উঠেছে অভিষেকের বিরুদ্ধে। গত ৫ অক্টোবর থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে রাজভবনের উত্তরের ফটকের অনতিদূরে ধর্না কর্মসূচি চালাচ্ছেন তিনি। যা বেআইনি বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতারা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে এবং প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন বাংলার বিজেপি নেতারা। অন্য দিকে, রাজভবনও চিঠি দিয়ে নবান্নের কাছে জানতে চেয়েছে, কার অনুমতিতে ওই ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করা হল রাজভবনের সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে? কিসের ভিত্তিতেই বা দেওয়া হয়েছে ওই অনুমতি? যদিও অভিষেক তাঁর ধর্না মঞ্চ থেকে এর পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন। অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বহুবার রাজভবনের ওই চত্বরে মিছিল করে গিয়েছেন বিজেপি নেতারা। রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। তখন কি রাজভবনের ১৪৪ ধারার কথা মনে ছিল না?’’ এই নিয়ে বিতর্ককের মধ্যেই সোমবার বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি একটি জনস্বার্থ মামলা করেন কলকাতা হাই কোর্টে।
তরুণজ্যোতির ওই আবেদন সোমবার শুনানির জন্য উঠেছিল হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু মামলাটি জরুরিভিত্তিতে শোনার কথা বলতেই প্রধান বিচারপতি আপত্তি তোলেন। তাঁকে স্পষ্ট বলতে শোনা যায়, ‘‘নো নো সরি সরি।’’
এর পরেই বিচারপতি শিবজ্ঞানম জানিয়ে দেন জরুরি ভিত্তিতে এই মামলা শোনা সম্ভব নয়। ফলে অভিষেকের বিরুদ্ধে ওই মামলাটি দায়ের হয়নি আদালতে। আদালত সূত্রে খবর, মামলাটি আগামী সপ্তাহে দায়ের হলে তার পরের সপ্তাহে শুনানি হলেও হতে পারে।