Sandeshkhali Incident

নিউটাউনের পুলিশ আটকেছিল, বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল হাই কোর্ট

গত ৭ মার্চ ভারতী-সহ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বাধীন বিজেপির একটি মিছিলকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয়। পরে গ্রেফতারও করা হয় বিজেপি নেত্রীদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৪ ২০:৫১
Share:

ভারতী ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে পুলিশকে হাই কোর্টের নির্দেশ বিজেপি নেত্রীর সন্দেশখালি যাওয়ার পথে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে তাদেরই খেয়াল রাখতে হবে।

Advertisement

আগামী ২২ মার্চ সন্দেশখালি যেতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন আইপিএস তথা বিজেপি নেত্রী ভারতী। একই সঙ্গে হাই কোর্টকে জানিয়েছিলেন, এর আগে সন্দেশখালি যেতে চেয়েও যেতে পারেননি তিনি। গত ৭ মার্চ নিউটাউনের পুলিশ বাধা দিয়েছিল তাঁকে এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপির মহিলা সমর্থকদের মিছিলকে।

হাই কোর্টকে ভারতী জানান, সন্দেশখালির বেরজা মূল পঞ্চায়েত এলাকায় যাওয়ার সময় বিশ্ব বাংলা গেটের কাছে তাঁদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে জানিয়ে তাঁদের আটকানো হয়। শুধু তা-ই নয়, সেখান থেকে প্রায় টেনে হিঁচড়ে প্রথমে টেকনোসিটি এবং পরে নিউটাউন থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। পরে ব্যাক্তিগত বন্ড দিয়ে ছাড়া পান তাঁরা। আদালতে ভারতীর আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, সন্দেশ খালি থেকে ৬৩ কিলোমিটার দূরে এই হেনস্থার কারণ কী? আগামী ২২ মার্চও যে তাঁদের একই ভাবে বাধা দেওয়া হবে না তারই বা গ্যারান্টি কোথায়!

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ ভারতী-সহ বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বাধীন বিজেপির একটি মিছিলকে সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হয়। পরে গ্রেফতারও করা হয় লকেট-সহ বিজেপি নেত্রীদের। পরে ছাড়া পান তাঁরা। সেই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনেই কলকাতা হাই কোর্টের কাছে আগাম সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন ভারতী।

মামলাটি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে ওঠে। তিনি এ ব্যাপারে রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাইলে, রাজ্যের আইনজীবী আদালতকে বলেন, ‘‘ওই রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা পদাধিকারের কারণে উঁচুস্তরের নিরাপত্তা পান। সন্দেশখালিতে সেই সময় গেলে তাঁদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এখন সন্দেশখালির পরিস্থিতি শান্ত। তাই তাঁরা চাইলে যেতেই পারেন। কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’

রাজ্যের বক্তব্য শোনার পরই বিচারপতি সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, ২২ মার্চ ভারতী সন্দেশখালি যেতে পারবেন। তাঁর যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা দেখতে হবে পুলিশকেই। পাশাপাশি, ৭ মার্চের ঘটনায় সব পক্ষকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানানোরও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ২২ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement