চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জনের মধ্যে ১২৬ জন শিক্ষক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হননি। ফাইল চিত্র ।
আদালতের নির্দেশে বাতিল হওয়া চাকরি বাঁচাতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আরও ৮৮ জন প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁদের যুক্তি, বৈধ ভাবে এবং নিয়ম মেনেই তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। আর সেই যুক্তিতেই আদালতে হলফনামা জমা দিলেন তাঁরা। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের আবেদন শুনবেন। এর আগে আদালতে ৫৪ জন হলফনামা দিতে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জনের চাকরি আবার বাতিল করে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এ বার আরও ৮৮ জন চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন।
প্রাথমিকে বেআইনি ভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে ওঠার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২৬৮ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। এই ২৬৮ জনের আবেদন হাই কোর্টকে শুনতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, হাই কোর্টে চাকরির বৈধতার প্রমাণ দিতে হবে এই ২৬৮ জনকে। সব দেখে শুনে হাইকোর্ট সম্মতি দিলে তবেই বহাল থাকবে চাকরি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো, চাকরি বাতিল হওয়া ওই প্রাথমিক শিক্ষকদের হাই কোর্টে হলফনামা পেশ করে চাকরির বৈধতার স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়ার কথা। কিন্তু বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন অভিযোগ রয়েছে, এমন অনেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দেননি। চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৮ জনের মধ্যে ১২৬ জন শিক্ষক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হননি। অর্থাৎ, আগে ৫৪ এবং এখন ৮৮— মোট ১৪২ জন শিক্ষকের হলফনামা জমা পড়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। তার মধ্যে ৫৩ জনের মামলা শুনে পুনরায় চাকরি বাতিল করেছে হাই কোর্ট। নতুন ৮৮ জনের শুনানি হবে আগামী সপ্তাহে।