জঙ্গলের পথে দক্ষিণরায়। —নিজস্ব চিত্র।
অবশেষে জঙ্গলে ফিরল দক্ষিণরায়! কুলতলির মৈপীঠ থেকে উদ্ধার হওয়া খাঁচাবন্দি একটি বাঘকে বুধবার জঙ্গলে ছেড়ে দিল বন দফতর।
বন দফতর সূত্রে খবর, বুধবার বেলা গড়াতেই সুন্দরবনের ৭ নম্বর ধূলাভাসানি জঙ্গলে বাঘটিকে ছেড়ে দেয় বন দফতর। খাঁচার দরজা খুলতেই একলাফে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে দক্ষিণরায়। এর পর সাঁতরে নদীর পাড়ে উঠে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। বাঘটি জঙ্গলে প্রবেশ না করা পর্যন্ত নদীতে বোট থামিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন বনকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে কুলতলি ব্লকের মৈপীঠের ভূবনেশ্বরী গ্রামে ঢুকে পড়েছিল বাঘটি। এলাকার একটি ধানক্ষেতে বাঘ ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গোটা গ্রামে। মঙ্গলবার বাঘকে খাঁচাবন্দি করতে ত্রিস্তরে বেড়াজাল দিয়ে ধানক্ষেত ঘিরে রেখেছিল বন দফতর। এর পর ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা বসানো হয় সেখানে। প্রথমে ধানক্ষেত থেকে বার না হলেও রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ খাবারের লোভে খাঁচায় ঢুকে পড়ে বাঘটি। সে সময়ই খাঁচাবন্দি হয় সেটি। এর পর খাঁচাবন্দি বাঘটিকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বণিক ক্যাম্পে। রাতেই বাঘটির চিকিৎসা শুরু হয়। পশু চিকিৎসকের কাছ থেকে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ মিলতেই বাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর।
খাঁচার দরজা খুলতেই একলাফে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। —নিজস্ব চিত্র।
বনকর্মীরা জানিয়েছেন, বাঘটিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বুধবার দুপুরে সেটিকে খাঁচাবন্দি অবস্থায় বোটে করে নিয়ে যাওয়া হয় ধূলাভাসানি-৭ জঙ্গল লাগোয়া নদীতে। পাড় থেকে বেশ কিছুটা আগে বোট থামিয়ে খাঁচা খুলে দিতেই বাঘ একলাফে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। এর পর সেটি সাঁতরে জঙ্গলে প্রবেশ করে।