চার কেন্দ্রের ভোটে আজ আধা-সেনা ৯২ কোম্পানি নিজস্ব সংবাদদাতা
By-Election

By-election: চার কেন্দ্রের ভোটে আজ আধা-সেনা ৯২ কোম্পানি

দিনহাটা ও শান্তিপুর কেন্দ্রে ৬ মাস আগের ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তাদের লক্ষ্য নিজেদের ভোট ধরে রাখার পাশাপাশি ওই দুই আসন বাঁচানো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২১ ০৯:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আজ, শনিবার। ঠিক এক মাস আগে ছিল দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রে বকেয়া ভোট এবং ভবানীপুরে উপনির্বাচন। বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে রাজ্যে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরে ওই তিন কেন্দ্রেও জয়ী হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এ বারের উপনির্বাচনেও শাসক দল সেই দাপট ধরে রাখতে পারে কি না, সেই পরীক্ষার ফল জানা যাবে আগামী ২ নভেম্বর।

Advertisement

চার কেন্দ্রে আজ মোট ৯২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তার মধ্যে দিনহাটায় থাকবে সর্বাধিক ২৭ কোম্পানি। বাকি কেন্দ্রগুলির মধ্যে শান্তিপুরে ২২, খড়দহে ২০ এবং গোসাবায় ২৩ কোম্পানি বাহিনী থাকছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ১০ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৬৬ জন। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লক্ষ ২০ হাজার ৮৪৫ এবং মহিলা ভোটার ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯০৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গে ভোটার সংখ্যা ১৭। চারটি কেন্দ্রে মোট ১৪৩৯টি ভোট-কেন্দ্র থাকছে। চারটি কেন্দ্রে এক জন করে পুলিশ, খরচ এবং সাধারণ পর্যবেক্ষক থাকছেন। এ ছাড়াও ১৭৭ জন মাইক্রো-অবজ়ারভার এই ভোটে কাজ করবেন। ওয়েবকাস্ট হবে ৭৬০টি ভোট-কেন্দ্রে। অর্থাৎ সেখানকার ভোট-চিত্র শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সরাসরি সম্প্রচার হবে কমিশনের কন্ট্রোল রুমে।

দিনহাটা ও শান্তিপুর কেন্দ্রে ৬ মাস আগের ভোটে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তাদের লক্ষ্য নিজেদের ভোট ধরে রাখার পাশাপাশি ওই দুই আসন বাঁচানো। আবার শান্তিপুরেই নিজেদের সাম্প্রতিক ভোট-প্রাপ্তির গড় হার বাড়ানোর আশা দেখছে বামেরা। অন্য দিকে, শাসক তৃণমূলের লক্ষ্য খড়দহ ও গোসাবা ধরে রাখার সঙ্গে সঙ্গেই বাকি দুই কেন্দ্রও নিজেদের দখলে নিয়ে আসা।

Advertisement

উপনির্বাচনে শাসক দলের দাপট ও পুলিশ-প্রশাসনের ‘পক্ষপাতপূর্ণ’ ভূমিকার আবহে কেমন ভোট হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিরোধী শিবিরে। কলকাতায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার বলেছেন, ‘‘যদি নন্দীগ্রামের মতো ভোট হয়, তা হলে বিজেপির ফল ভাল হবে। বিজেপি জিতবে। আর ভবানীপুরের মতো ভোট হলে আবার গণতন্ত্র ধ্বংস হবে!’’ ঝাড়গ্রামে বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে এ দিনই শুভেন্দুর নাম না করেই তাঁর প্রতি কটাক্ষ করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘শনিবার যে চারটি আসনে ভোট হবে, তাতে আমি ‘খেলা হবে’ বলব না। চার-শূন্য গোলে হারবে! যাঁরা এখন গেরুয়া বসনধারী হয়ে নৃত্য করছেন, হিন্দু ধর্মকে নতুন করে সনাতনী ধর্ম বলে ভাঙানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের মুখ জনতাই পোড়াবে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement