এই হামলায় জখম মসিয়ার জমাদার। —নিজস্ব চিত্র।
ভোরবেলা আতঙ্ক ছড়াল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় একটি চলন্ত লোকাল ট্রেনের কামরায়। ডায়মন্ড হারবার লাইনের ওই ট্রেনে এক ব্যবসায়ীর উপর ধারালো অস্ত্রের এলোপাথাড়ির কোপ চালালেন এক দল দুষ্কৃতী। রবিবারের এই ঘটনায় জখম ব্যবসায়ীকে হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হামলায় জড়িত সন্দেহে এক যুবককে আটক করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার লাইনের দেউলা স্টেশনে এই হামলায় জখম হয়েছেন মসিয়ার জমাদার নামে ৩৮ বছরের এক যুবক। তিনি নেতড়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর উপর হামলা চালানোর অভিযোগে ইমরান গায়েন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নেতড়া স্টেশন থেকে শিয়ালদহ আপ লোকাল ট্রেনে চেপে গড়িয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন মসিয়ার। তিনি পুরনো জিনিসপত্র কেনাবেচা করেন। গড়িয়ার তাঁর একটি দোকানও রয়েছে। প্রতি দিনের মতো রবিবার ভোরে নেতড়া স্টেশন শিয়ালদহ আপ লোকাল ট্রেনে উঠেছিলেন মসিয়ার। অভিযোগ, ট্রেন ছাড়ার পর কামরায় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মসিয়ার উপর চড়াও হন এক দল দুষ্কৃতী। মসিয়ারের উপর এলোপাথাড়ি অস্ত্রের কোপ মারতে থাকেন তাঁরা। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। হামলার মাঝেই দেউলা স্টেশন এলে ট্রেন থেকে নেমে চম্পট দেন দুষ্কৃতীরা। অস্ত্রের কোপে জখম মসিয়ারের সাহায্যে এগিয়ে আসেন তাঁর সহযাত্রীরা। মসিয়ারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে মসিয়ারকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইমরান গায়েন নামে এক জনকে পাকড়াও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাঁকে উস্থি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অভিযোগ, নেতড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠার পর সময় থেকেই মসিয়ারের পিছু ধাওয়া করে ট্রেনে চাপেন দুষ্কৃতীরা। এই হামলার পিছনে পুরনো শত্রুতা রয়েছে বলে দাবি করেছে মসিয়ারের পরিবার। ইমরানকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ডায়মন্ড হারবার জিআরপি থানার পুলিশ।