সিএনজি বাস পরিষেবা শুরু নিয়ে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের প্রশ্নের মুখে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র
সিএনজি বাস পরিষেবা নিয়ে এবার বাস মালিকদের সংগঠন চিঠি দিল পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। শনিবার বাসভাড়া বৃদ্ধি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাব তিনি বলেছিলেন, ‘‘সরকার বিকল্প পরিবহণ হিসেবে সিএনজি বাস আনছে।’’ পরিবহণমন্ত্রীর এমন জবাব যে বাস মালিকরা ভাল ভাবে নেননি, তা বোঝা গেল সোমবার। বাস মালিকদের সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে সোমবার তিন পাতার একটি দাবিপত্র পাঠানো হয়েছে পরিবহণমন্ত্রীকে। দাবিপত্রের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে পরিবহণ সচিবকেও। দাবিপত্রের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে দু’টি বিষয় ১)বিজ্ঞানভিত্তিক বাস ভাড়া বৃদ্ধি ও ২) সিএনজি/ ইলেকট্রিক বাস।
দাবিপত্রের ছত্রে ছত্রে প্রশ্নের মুখে ফেলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবহণ নীতিকে। সঙ্গে বাস পরিষেবা নিয়েও রাজ্য পরিবহণ দফতরের একাধিক সিদ্ধান্তকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করানো হয়েছে। সিএনজি বাস পরিষেবা নিয়ে মন্ত্রীর বক্তব্যকেই হাতিয়ার করে লেখা হয়েছে, ‘সিএনজি/ ইলেকট্রিক বাসের কথা বলা হয়, এবং এই বাসের কী দাম এবং কী ভাবে তার ইএমআই দেওয়া যাবে, সরকারকে ভাবতে হবে। সার্বিক পরিকাঠামো তৈরি না করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে বেসরকারি পরিবহণ অবশ্যই হারিয়ে যাবে।’আবার দাবিপত্রের একটি অংশে লেখা হয়েছে, ‘এখন যদি সিএনজি / ইলেকট্রিক বাস চালানো হয় তার বয়সসীমা কী হবে? সুতরাং তারও একটি গাইডলাইন দরকার।’
নতুন সিএনজি/ইলেকট্রিক বাস চালানো শুরু হলে বর্তমানে যে সব বেসরকারি বাস রয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের অবস্থান কী হবে তা নিয়েও মন্ত্রীর অবস্থান জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আবেদনের সুরে লেখা হয়েছে, ‘জ্বালানির খরচ যদি কমে, সমাজ যদি দূষণমুক্ত হয় অবশ্যই আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। কিন্তু তার আগে দেখতে হবে হাজার হাজার বাস মালিক হারিয়ে যেন না যান।’ বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে যাতে সরকার বর্তমানে বাসভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করে, সে ব্যাপারেও আবেদন করা হয়েছে।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘পরিবহণমন্ত্রী তাঁর মতো করে অবস্থান জানিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু বিস্তারিতভাবে না বললে সাধারণ মানুষের কাছে এমন বার্তা যেতে পারে, যে বাস মালিকরা সহযোগিতা করছেন না। তাই আমরা সিএনজি বাস নিয়ে আগে পরিকাঠামো ও গাইডলাইনের কথা বলেছি। যেগুলো পরিষেবা শুরুর আগেই সরকারকে করতে হবে। কিন্তু মুখে বলা হলেও, এই বিষয়ে এখনও কিছু করা হয়নি। তাই আমরা সরকারের অবস্থানের বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছি।’’ দাবির আকারে মোট ১১টি বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে পরিবহণমন্ত্রী কাছে।