তৃণমূলে হয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে ত্রিপুরায় যেতে পারেন ঘাটালের অভিনেতা সাংসদ দেব। ফাইল চিত্র
তৃণমূলের ত্রিপুরা ‘চ্যালেঞ্জ’-এ এবার অস্ত্র হতে চলেছেন অভিনেতা সাংসদ দেব। বিধানসভা ভোট তৃতীয় বার বাংলা দখলের পরেই তৃণমূলের নজর দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির দিকে। সেই উদ্দেশ্য মাথায় রেখেই ত্রিপুরায় দলের গতিবিধি বাড়িয়েছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। এ বার সেই রণনীতি মেনেই পাঠানো হতে পারে ঘাটালের অভিনেতা সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারীকে। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই তাঁর আগরতলা সফর হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূলের সভাপতি আশিসলাল সিংহ বলেন, ‘‘চলতি সপ্তাহেই আমাদের দলের অভিনেতা সাংসদ দেব আগরতলায় আসতে পারেন। তবে তাঁর কর্মসূচি এখনও স্থির হয়নি। তা স্থির হলেই সংবাদমাধ্যমকে জানাব।’’
ত্রিপুরা নিয়ে দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও 'মিশন ত্রিপুরা'য় তৃণমূলের পাঁচ জন নেতাকে প্রতি মাসে তিন দিন করে সময় দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেবের মতো প্রথম সারির কোনও তারকাকে ব্যবহার করার কৌশল সব দিক থেকেই অভিনব বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূল সূত্রে খবর, অন্যান্য নেতাদের যেমন সংগঠন বৃদ্ধির কাজের জন্য ত্রিপুরায় পাঠানো হবে, তেমনই নায়ক দেবের ‘স্টারডম’-কেও কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। কারণ পশ্চিমবঙ্গের পর ত্রিপুরাতেই সবচেয়ে বেশি বাঙালির বাস। আর সিনেমাপ্রেমী বাঙালির মধ্যে অভিনেতা দেবের জনপ্রিয়তা বিপুল। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের কাছে টলিউডের এই নায়কের গ্রহণযোগ্যতা যথেষ্টই। তাই তাঁকেই তৃণমূলের ত্রিপুরা ‘চ্যালেঞ্জ’ কর্মসূচিতে শামিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই অভিনেত্রী তথা যুব তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভানেত্রী সায়নী ঘোষকেও পাঠানো হয়েছিল ত্রিপুরায়। তিনিও সেখানে গিয়ে বেশ কিছু দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন।