ফাইল ছবি।
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ১১তম সর্বভারতীয় সম্মেলনে অভিনন্দন বার্তা পাঠালেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সংগঠনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। অডিয়ো মাধ্যমে রেকর্ড করা বার্তায় বুদ্ধদেব রাজ্যে ও দেশে যে জনবিরোধী ও দমনপীড়নের সরকার চলছে, তা প্রতিহত করতে পারে বামপন্থী আন্দোলনই বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডিওয়াইএফআই কর্মীদের।
শুক্রবার থেকে সল্টলেকে শুরু হয়েছে ডিওয়াইএফআইয়ের সম্মেলন। সেখানে অভিনন্দন বার্তা গেল পাম অ্যাভিনিউ থেকে। অসুস্থ বুদ্ধদেব অডিয়ো বার্তায় ডিওয়াইএফআই কর্মীদের রাজ্যের সর্বত্র আন্দোলন সংগঠিত করার জন্য অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বর্তমানে রাজ্য ও দেশে যে জনবিরোধী ও দমনপীড়নের সরকার চলছে তা প্রতিহত করতে পারে একমাত্র বামপন্থী আন্দোলনই। পাশাপাশি সমস্ত প্রতিকূলতাকে অগ্রাহ্য করে লক্ষ্যে অবিচল থাকার দাওয়াইও দিয়েছেন। শুক্রবার বুদ্ধদেবের পাঠানো বার্তাটি পাঠ করে শোনান ডিওয়াইএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখোপাধ্যায়।
দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে ঘরবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক বার তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয়েছে। করোনা সংক্রমিতও হয়েছেন। চোখের সমস্যায় ভোগা বুদ্ধদেব তাঁর অসুস্থতা সত্ত্বেও দৈনন্দিন দলের খোঁজখবর রাখেন। সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পর মহম্মদ সেলিম তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পাম অ্যাভিনিউ যান। গত ৭ মে, শনিবার, আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ অনুষ্ঠান ‘অ-জানাকথা’য় এসে সেই প্রসঙ্গে সেলিম জানিয়েছিলেন, বুদ্ধদেব তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। অনেক আলোচনাও হয়েছিল।
২০১১-য় বিধানসভা ভোটে হারের পর থেকেই প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে ক্রমশ দূরে সরতে থাকেন বুদ্ধদেব। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সেই দূরত্বকে আরও বা়ড়িয়ে দেয়। যদিও লেখালেখি এবং রাজনৈতিক আলোচনায় খামতি হয়নি। তার পর যত দিন গড়িয়েছে, আরও অসুস্থ হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাক্তনকে দেখতে পাম অ্যাভেনিউয়ের বাড়িতে গিয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।