—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলে গিয়েছেন, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এ রাজ্যের ক্ষমতায় এলে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হবে। পড়শি রাজ্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপির হিমন্তবিশ্ব শর্মাও অনুপ্রবেশ-সমস্যার জন্য এ রাজ্যের দিকে আঙুল তুলে থাকেন। অথচ এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের পাল্টা দাবি, সীমান্ত তো বিএসএফের এক্তিয়ারে। তা হলে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কী করছে? এই প্রশ্ন করা হলে তার জবাব দিলেন না বাহিনীর মালদহ রেঞ্জের ডিআইজি তরুণকুমার গৌতম।
সোমবার মালদহে ‘ভিজিল্যান্স অ্যাওয়ারনেস উইক’ পালনের অনুষ্ঠানে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, সীমান্তের ভিতরে রাজ্যের অংশে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এক্তিয়ার পেলেও, অনুপ্রবেশ রোখায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে? ডিআইজি বলেন, “এ ব্যাপারে কথা বলতে আসিনি। অন্য অনুষ্ঠান রয়েছে।” তবে শীতের মরসুমে পাচার রুখতে সীমান্তে গ্রামসভা, ‘হেল্পলাইন নম্বর’ চালু করার মতো একাধিক কর্মসূচির কথা জানান তিনি। বলেন, “শুধু শীতের মরসুম নয়, সীমান্তে বিএসএফ সব সময়েই সতর্ক থাকে। জওয়ানেরা জানেন, শীতের মরসুমে কী ভাবে কাজ করতে হবে।” তবে এই প্রসঙ্গে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। এখনও উত্তরের একাধিক জেলায় শতাধিক কিলোমিটার উন্মুক্ত-সীমান্ত রয়েছে। অভিযোগ, গরু, নেশার সিরাপ, মাদক, মোবাইল ফোন পাচারের অন্যতম ‘করিডর’ কাঁটাতারের বেড়া না থাকা সীমান্তের সেই অংশ। সেখান দিয়ে পাচারের পাশাপাশি অনুপ্রবেশও চলে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি বাংলাদেশে অস্থিরতার সময়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টার ছবি দেখা গিয়েছে উত্তরের একাধিক জেলায়। যদিও বিএসএফের দাবি ছিল, সেই সময় অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছিল।
অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই বিএসএফের এ দিনের কর্মসূচি নিয়ে তৎপরতা ঘিরে শুরু হয়েছে চর্চা। যদিও বিএসএফের এক কর্তা বলেন, “প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষে এবং নভেম্বরের শুরুতে ‘ভিজিল্যান্স অ্যাওয়্যারনেস উইক’ পালন করা হয়। এ বারও তা শুরু হয়েছে।” এ দিন থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সীমান্তে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর কটাক্ষ, “সীমান্তে নজরদারি চালায় কেন্দ্রের অধীনে থাকা বিএসএফ। তা হলে এখনও কেন অনুপ্রবেশ বা পাচার ঠেকানো যায়নি?”
এই বিষয়ে বিজেপির উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মুর পাল্টা জবাব, “বিএসএফ সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে। তবে রাজ্যের শাসক দলের নেতাদের মদতে সীমান্তে অপরাধের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু কারবারি। বিএসএফ ব্যবস্থা নিচ্ছে।”