রায়দিঘিতে বামেদের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র
এ বার কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে ‘অন্য খেলা’র কথা সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে। ২৮ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে বেরিয়ে রায়দিঘিতে কান্তির তোপ, তৃণমূলের দুর্নীতি ধরিয়ে দেওয়ার খেলা খেলবেন তাঁরা। অন্য দিকে হাওড়া এবং হুগলিতেও ব্রিগেডের প্রচার চালান বাম-কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা।
বামেদের ব্রিগেড সভার প্রচার চলছে জেলায় জেলায়। সমাবেশের সমর্থনে রবিবার বিকেলে রায়দিঘিতে পদযাত্রায় পা মেলান বাম-কংগ্রেস নেতারা। ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ী, সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, কুলতলির বিধায়ক রামশঙ্কর হালদার ও কংগ্রেস নেতা মনোরঞ্জন হালদার-সহ বাম ও কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। রায়দিঘি মোড় থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার মিছিল করে কোম্পানি ঠেক পর্যন্ত গিয়ে সেখানে সভা করেন বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সভা শেষে বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি বলেন, ‘‘এখন তো শুধু শুনছি, খেলা হবে। আমরা এমন খেলা খেলতে চাই, যে আমপানের চাল চোর, ত্রিপল চোরদের জেলে ঢোকাতে চাই। সারদা-নারদা চিটফান্ডে প্রতারিতরা টাকা পাক, আমরা এই খেলা খেলতে চাই।’’ একই সঙ্গে বাম নেতাদের দাবি, বেকার যুবকরা যেন কাজ পান। কৃষক স্বার্থবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। সুন্দরবনের বেহাল নদী বাঁধ তৈরির জন্য বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি টাকা ফেরত গেল কেন, আমরা জানতে চাই।’’
হাওড়ায় মিছিলে সুজন চক্রবর্তী। —নিজস্ব চিত্র
ব্রিগেডের সমর্থনে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মিছিল হয় হাওড়াতেও। হাওড়ার চ্যাটার্জি হাট বেলেপোল মোড় থেকে মিছিল হয় আন্দুল চুনাভাটি পর্যন্ত। সুজন চক্রবর্তী বলেন, শাসক দলের বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে। ক্ষমতার দম্ভ চলছে। প্রতিবাদ করলেই পুলিশ দিয়ে নির্বিচারে মারধর করছে। যার প্রমান নবান্ন অভিযান এর ঘটনা।’’ বাবু মাস্টারের উপর শনিবার রাতে দুষ্কৃতী হামলা প্রসঙ্গে সুজন বলেন, এক সময় শাসক দলের মদতপুষ্ট এই দুষ্কৃতী পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মস্তানি করত। এখন বেসুরো হওয়ায় তার ওপর হামলা হচ্ছে।
পুরশুড়ায় বিমান বসু, আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে মিছিল। —নিজস্ব চিত্র
হুগলিতে মিছিল হয় বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে। বিমান বসু বলেন, ‘‘তৃণমূল এবং বিজেপির জনবিরোধী কাজকর্ম রুখতেই হবে। এর জন্য আসন কমল কি বাড়ল, সেটা বিষয় নয়।’’ ফুরফুরার আব্বাসের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান বিমান। রাজ্যে কোনও দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে বামেরা কাকে সমর্থন করবে, এই প্রশ্নে বিমান বলেন, এখনও নির্বাচন ঘোষণা হয়নি। নির্বাচনও হয়নি। এখন এসব বলা মানে গাছে কাঁঠাল গোফে তেলের মতো। তবে আমরা মনে করি তৃনমূল বিজেপিকে হারিয়ে বিকল্প সরকার তৈরি করতে পারব।’’