অধীর চৌধুরী, আব্বাস সিদ্দিকি এবং বিমান বসু। ফাইল চিত্র।
এখনও নিজেদের আসন ভাগ বাটোয়ারা শেষ হয়নি। তার মধ্যেই বাম ও কংগ্রেসকে চাপে ফেলে দিল আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট(আইএসএফ)। সূত্রের খবর, জোটের কাছে তাঁরা ৬৫-৭০টি আসন ছাড়ার দাবি জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে দু’পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও হয়ে গিয়েছে আব্বাসের দলের। এখনও বিষয়টি নিয়ে নিষ্পত্তি হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে এক আব্বাস ঘনিষ্ঠের কথায়, আগামী ১৬ কিংবা ১৭ তারিখে মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। আর তারপরেই সব পক্ষের নেতারা প্রকাশ্যে এক সঙ্গে বসেই তা ঘোষণা করবেন। তবে আইএসএফের দাবি কিছুটা ভাবিয়ে তুলেছে জোটের নেতাদের। কারণ ইতিমধ্যে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস ১৯৩টি আসনের রফা চূড়ান্ত করেছে। ৯২টি আসনে কংগ্রেস ও ১০১টি আসনে লড়াই করবে বামেরা।
আব্বাসের দলের এই বিরাট আসনের দাবি কী ভাবে মেটানো হবে তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, আসন বন্টন নিয়ে আলোচনার টেবিলেই আব্বাসের সঙ্গে জোট ভেস্তে যাক চায় না বাম-কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আব্বাসও। চলতি মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েও কিছুটা পিছিয়ে এসে জোট নেতৃত্বকে সময় দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, আগামী দু’দিন আইএসএফের সঙ্গে আসন রফা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক হবে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্বের। সংসদের অধিবেশন চলায় এতদিন জোট আলোচনায় অংশ নিতে পারছিলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও রাজ্যসভার প্রবীণ সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। কিন্তু শনিবার সংসদের অধিবেশন শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এবার বাম-কংগ্রেস দু’পক্ষই পরস্পরের সঙ্গে আসন রফা তো বটেই, আব্বাসের সঙ্গে জোটের শর্ত চূড়ান্ত করতে চাইছে।
তবে ৬৫-৭০টি আসন চাওয়ার কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করতে চাননি আইএসএফের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁর কথায়, ‘‘জোটে কে কত আসন চেয়েছে তা প্রকাশ্যে বলা আমাদের নীতির বিরুদ্ধে। জোটের আলোচনা চলছে। আগামী সপ্তাহেই সাংবাদিক বৈঠক করে সবকিছু স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হবে।’’ অন্য দিকে এআইসিসি-ও চাইছে দ্রুতই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে জোটের আসনরফা চূড়ান্ত হয়ে যাক। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের ভোট ক্রমশ তৃণমূল ও বিজেপির দ্বিমুখী লড়াইয়ের দিকে চলে যাচ্ছে। তাই বামফ্রন্ট ও আব্বাসের সঙ্গে কথা বলে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস দ্রুত ভোটের প্রস্তুতি নিক, সেটাই চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড।