আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) কলেজ।—ছবি সংগৃহীত।
কলেজের ‘অনিয়ম’ নিয়ে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি ছিল। সোমবার তাকে ঘিরে নিউ ব্যারাকপুরের আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র (এপিসি) কলেজে এবিভিপি এবং টিএমসিপি-র সংঘর্ষে আহত হন নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার কাউন্সিলর এবং জনা দশেক কর্মী-সমর্থক। গোলমালের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মধ্যমগ্রাম-সোদপুর রোড। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এপিসি কলেজের সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়তেই মধ্যমগ্রাম বিবেকানন্দ কলেজে এবিভিপি এবং টিএমসিপি-র সংঘর্ষ বাধে। আহত হন এক ছাত্র।
এপিসি কলেজে সদস্য সংগ্রহকে ঘিরে এবিভিপি-র সঙ্গে টিএমসিপি-র ঝামেলা চলছিল। এবিভিপি জানায়, ভর্তিতে টাকা চাওয়া, স্বজনপোষণ-সহ নানান অভিযোগে তাদের শ’খানেক কর্মী-সমর্থক অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিতে গেলে টিএমসিপি আটকে দেয়। শুরু হয় বচসা, মারপিট। কয়েক জনের মাথা, পিঠ থেকে রক্ত ঝরতে থাকে। মহিলাদের উপরেও আক্রমণ করা হয়। দু’পক্ষই মারামারি করতে করতে রাস্তায় উঠে আসে। চলে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি। টিএমসিপি নেতা তথা নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার কাউন্সিলর মনোজ সরকারের মাথা ফেটে যায়। পুলিশ লাঠি চালায়। তার পরে মধ্যমগ্রাম বিবেকানন্দ কলেজে এবিভিপি-র উপরে টিএমসিপি হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। মধ্যমগ্রাম থানায় বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি। টিএমসিপি-র দাবি, তাদের উপরেই হামলা চালানো হয়েছে।