চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম কি চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই? জবাব মিলবে আগামী সপ্তাহে। — ফাইল ছবি।
জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে তিন বছরের বদলে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম কি চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই? কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমেই কি এ বছর কলেজে ভর্তি? এই বিষয় দু’টিই স্পষ্ট করা হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনার পর। শুক্রবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এই দু’টি বিষয় নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা বাকি রয়েছে তাঁর। সামনের সপ্তাহে সময় চেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সঙ্কেত দিলে তবেই এই বিষয়টি স্পষ্ট করা হবে। কারণ দু’টি বিধি চালুর ক্ষেত্রেই পরিকাঠামোগত বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের বিষয়টিও নজরে রাখা হচ্ছে। ব্রাত্যের কথায়, ‘‘চার বছরের স্নাতকোত্তর পাঠক্রম এবং কেন্দ্রীয় অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে ভর্তির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শেষ ধাপের আলোচনা বাকি। সবুজ সঙ্কেত পেলেই জানাব।’’
জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে দেশের বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু হয়েছে। রাজ্যের সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়েও জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করেছে। বাকি রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও চার বছরের স্নাতক পাঠক্রম চালু করার নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। উদ্যোগী হয়েছে শিক্ষা দফতর। ব্রাত্য এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কী ভাবে কার্যকর করা হতে পারে, তা নিয়ে সেই কমিটি মত দেবে। সেই মতো কমিটি গঠন করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। ৬ সদস্যের এই কমিটির প্রধান করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। স্থির হয়, কমিটি রিপোর্ট দিলে তার ভিত্তিতে চার বছরের পাঠক্রম নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। এ বার এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে শেষ ধাপের আলোচনায় বসতে চলেছেন ব্রাত্য।
পাশাপাশি, অভিন্ন কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে কলেজে ভর্তির বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেতের উপর নির্ভর করছে। সূত্রের খবর, এই কেন্দ্রীয় পোর্টালের মহড়া চলছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের কাউন্সেলিং যে ভাবে হয়, সেই ভাবেই এই পোর্টালের মাধ্যমে পড়ুয়া ভর্তি নেওয়া হবে। এই পোর্টালে টাকা জমা দিয়ে রাজ্যে বিভিন্ন কলেজে ভর্তি হতে পারবেন পড়ুয়ারা। গত বছর থেকেই এই পোর্টাল চালুর ভাবনা ছিল শিক্ষা দফতরের। পরিকাঠামোর অভাবে হয়নি। এ বার শিক্ষা দফতর এই কেন্দ্রীয় পোর্টাল চালু করতে উদ্যোগী। অপেক্ষা মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সঙ্কেতের।