নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে বনি সেনগুপ্তের। ফাইল চিত্র।
আড়াই ঘণ্টা পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতর থেকে বেরোলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত হুগলির বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় একটি গাড়ি কিনেছিলেন বনি। সেই লেনদেনের সূত্রেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। সেই টাকা তিনি ফেরত দেবেন কি না, বিদেশযাত্রার অর্থ তাঁর কি না, এই প্রশ্ন ধেয়ে আসে। জবাবে মঙ্গলবার বনি বললেন, ‘‘ওই সব টাকা আমার দাদা, আর কারও নয়।’’ কুন্তলের দেওয়া ওই টাকা পারিশ্রমিক হিসাবে পেয়েছিলেন বলে আগে দাবি করেছিলেন বনি।
দুপুর আড়াইটে নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স (যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) থেকে বেরোন টলিউডের নায়ক। তাঁর কাছে যা নথি চাওয়া হয়েছিল, তা তিনি জমা দিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানালেন বনি। বলেন, ‘‘আমার কাছে যা যা নথি চাওয়া হয়েছিল, তা জমা দিয়েছে। সব কথা হয়ে গিয়েছে। এ বার যা বলার ইডি বলবে। আশা করি আমায় আর ডাকা হবে না। আমায় আর এ ভাবে হেনস্থা করবেন না।’’
নিয়োগ দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদের আবহে বনির বিদেশ সফরে অর্থের উৎস নিয়েও চর্চা চলেছে। সেই প্রসঙ্গেও বনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে,সবই তাঁর টাকায় হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলির আরও এক তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি চেনেন না বলেও দাবি করেছেন বনি।
রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে বনির সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এর পরই বাংলা ছবির এই নায়ককে ডেকে পাঠায় ইডি।
গত বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন বনি। সে দিন তাঁকে দু’দফায় প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা।গত বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমে কুন্তল প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন বনি। তিনি জানিয়েছিলেন যে, কুন্তলের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল ২০১৭ সালে। বনিকে নিয়ে ছবি করার কথা বলেছিলেন কুন্তল। ছবির অগ্রিম হিসাবে বনিকে টাকা দিতে চেয়েছিলেন কুন্তল। বনি জানিয়েছিলেন যে, সেই সময় একটি গাড়ি কেনার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সেই কথাই তিনি কুন্তলকে জানিয়েছিলেন। সেই মতো গাড়ি কেনার জন্য বনিকে ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল। সেই গাড়ি কেনার নথি মঙ্গলবার ইডি দফতরে তিনি জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বনি।
বনিকে নিয়ে অবশ্য পরে ছবি বানাননি কুন্তল। টাকা শোধ করতে তাই কুন্তলের একাধিক ইভেন্টে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন বনি।