হুগলির দুই বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষ। ফাইল চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হুগলির দুই তৃণমূল যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করলেও বহিষ্কার করেনি তৃণমূল। একই ভাবে বহিষ্কৃত হতে হয়নি পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকেও। অথচ দু’জনেই গ্রেফতার হয়েছেন নিয়োদ দুর্নীতিতে।
মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ একটি সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের তরফে দলের মুখপাত্র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা এই ঘোষণা করেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে পাশে নিয়ে শশী বলেন, ‘‘আমরা বরাবর বলে এসেছি, আমরা এই দুর্নীতির সমাধান চাই। যাঁরা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাঁদের রেয়াত করা হবে না।’’ যদিও নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার তৃণমূলের আরও এক বিধায়ক তথা দলের সদস্য মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপের ঘোষণা করতে দেখা যায়নি শাসক দলকে। একই ভাবে কয়লা এবং গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও প্রকাশ্যে সমর্থনই করেছে দল।
মঙ্গলবার ওই সাংবাদিক বৈঠকে শশী অবশ্য বলেছেন, ‘‘তৃণমূল কখনওই দোষীদের সমর্থন করেনি। বরং তারা চায় এই দুর্নীতির তদন্তে গতি আসুক। দ্রুত এর সমাধান হোক। এই প্রক্রিয়ায় যাঁদের নাম প্রকাশ্যে এসেছে, দল তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করেছে। আর এখানেই অন্যান্য দলের সঙ্গে তৃণমূলের ফারাক। তৃণমূল অভিযুক্তদের সমর্থন করে না। অথচ বিজেপিকে দেখা গিয়েছে, স্পষ্টতই তাদের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত নেতাদের জামিনের জন্য তদ্বির করতে।’’
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রসঙ্গ টেনে শশী বলেন, ‘‘হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন অমিত শাহ। আবার ৩৫০ কোটিতে যেখানে শুভেন্দুরও সুপারিশ করা প্রার্থীরা রয়েছেন। সেখানে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করা হচ্ছে না।’’ শশী জানিয়েছেন, কাদের কাদের সঙ্গে বিজেপির যোগাযোগ, তার তালিকা দেবে তৃণমূল। শশীর কথায়, ‘‘তালিকায় ৫৯ জন রয়েছেন।’’
মঙ্গলবারের ওই সাংবাদিক বৈঠকে শশী বলেন, ‘‘২০১৪ সাল থেকেই এটা চলে আসছে। আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আসলে এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। ভোটে পারছে না, উন্নয়নে পারছে না। তাই ইডি-সিবিআই করছে।’’