গ্রামের অস্থায়ী শ্মশানে ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে দাহ করা হচ্ছে করোনায় মৃত দেহ। ফাইল চিত্র
করোনায় মৃতের দেহ দাহ করা নিয়ে উত্তেজনা পুরুলিয়ার বুরদা গ্রামে। অস্থায়ী শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করা যাবে না, গ্রামবাসীদের এই বাধার মুখে পড়ে শেষমেশ প্রায় ৬ ঘণ্টা পর ভোর রাতে অন্যত্র দেহ দাহ করতে বাধ্য হল বাগমুন্ডি ব্লক প্রসাশন।
স্থানীয় খবর, গত ১ মে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেওয়ায় বুরদা গ্রামের কিশোর কপূর নামে এক ব্যক্তিকে বাগমুন্ডির ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর করোনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে নিভৃতবাসের পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেই মতো নিজের গ্রামের বাড়িতেই থাকছিলেন তিনি। তার পর হঠাৎই মঙ্গলবার দুপুর থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় তাঁকে ফের বাগমুন্ডির ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেখানে করোনা চিকিৎসার পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকায় ওই ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে হাতোয়ারার পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পর বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ওই ব্যক্তির পরিবারকে জানানো হয়, তিনি মারা গিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার পরিবারের লোক এসে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্র নিয়ে গেলেও দেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। গোটা বিষয়টি বাগমুন্ডি ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়। বাগমুন্ডি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দেবরাজ ঘোষ বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, ব্লক প্রশাসনই দেহ সৎকার করবে।’’ সিদ্ধান্ত মতো, ওই ব্যক্তির দেহ কালিমাটি'র কাছে দুয়ারসিনি জঙ্গলে দাহ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাতেই বিরোধ বাধে গ্রামবাসীদের সঙ্গে। তাঁদের দাবি, কোভিড আক্রান্তের দেহ ওই এলাকায় দাহ করা হলে গোটা গ্রামে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। পুলিশের তরফে একাধিক বার বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও গ্রামবাসীরা তাতে রাজি হননি। শেষমেশ অন্যত্র দেহ দাহ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাগমুন্ডি ব্লক প্রসাশন।