মতুয়া। —ফাইল চিত্র।
সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ক্ষেত্রে নিজেদের হাতছাড়া হওয়া তিনটি বিধানসভাতেই বেশ কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। এর মধ্যে রয়েছে রানাঘাট দক্ষিণের মতো মতুয়া গড়ও।
উৎসবের মধ্যেও সদস্য সংগ্রহ অভিযানে ভাটা পড়েনি বিজেপির। মণ্ডল স্তর পর্যন্ত দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে মোবাইল অ্যাপ মারফত এই সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। নেতাকর্মীরা মানুষের কাছে গিয়ে সদস্য হতে আবেদন জানাচ্ছেন।
রানাঘাট দক্ষিণের বিধানসভাগুলির একটি বড় এলাকা জুড়ে মতুয়া ভোট নির্ণায়ক শক্তি বলে মনে করা হয়। এর মধ্যে কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাট উত্তর-পূর্ব, রানাঘাট দক্ষিণ, চাকদহের মতো বিধানসভা কেন্দ্র মতুয়া অধ্যুষিত। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা। তার পরেই রয়েছে সাংগঠনিক জেলা সভাপতির নিজের কেন্দ্র রানাঘাট উত্তর পশ্চিম বিধানসভা। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে চাকদহ এবং কৃষ্ণগঞ্জ। এর মধ্যে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম ছাড়া বাকি তিনটি বিধানসভায় বড় সংখ্যায় মতুয়া ভোট রয়েছে।
সদস্য সংগ্রহ অভিযানের ক্ষেত্রে অনেকটাই পিছনে পড়ে গিয়েছে রানাঘাট দক্ষিণ, শান্তিপুর এবং নবদ্বীপ বিধানসভা কেন্দ্র। পিছনে পড়ে যাওয়া রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা মতুয়া অধ্যুষিত। লোকসভা ভোটেও এখান থেকে বড় ব্যবধানে লিড নিয়েছিল বিজেপি। জয় এসেছিল বিধানসভা কেন্দ্রেও। তবে বিধায়ক মুকুটমনি অধিকারী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর সেখানে উপ-নির্বাচনে হার হয়েছে বিজেপির।
আবার শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতি দখল রয়েছে বিজেপির হাতে। এই পঞ্চায়েত সমিতির একটি অংশ শান্তিপুর বিধানসভার মধ্যে, অন্য অংশ রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম বিধানসভায় পড়ে। সদস্য সংগ্রহের বিচারে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্র দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও পিছনের সারিতে রয়েছে শান্তিপুর। তৃণমূলের হাতে থাকা নবদ্বীপ বিধানসভাও পিছনের সারিতে।
বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, কোথাও কোথাও স্থানীয় স্তরে সক্রিয়তার অভাবের কারণে গতি মন্থর হয়েছে। আবার শান্তিপুর, নবদ্বীপের মতো জায়গায় সম্প্রতি উৎসব গিয়েছে। তাই কমেছে গতি। যদিও শান্তিপুরে আগে থেকেই সদস্য সংগ্রহের কাজ ধীর গতিতে হচ্ছিল বলে দাবি দলের একাংশের। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে সাংগঠনিক ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
নেওয়া হচ্ছে।