BJP

বিজেপি-র ‘বিয়োগমেলা’! বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের হাতে

দলত্যাগীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের যজ্ঞে শামিল হতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বামনগোলা শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২১ ২০:০০
Share:

বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতিতে রাজ্যের শাসকদল একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হল। —নিজস্ব চিত্র।

নীলবাড়ির লড়াই মিটতেই মালদহের বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিল তৃণমূল। বিজেপি-র ৪ সদস্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। শনিবার দলত্যাগীদের দাবি, মমতার উন্নয়নের যজ্ঞে শামিল হতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। যদিও বিজেপি-র জেলা নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, প্রলোভন এবং ভয় দেখিয়ে রাজ্য জুড়ে এখন দলবদলের পালা চলছে। মালদহও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে বিরোধীদের অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ শাসকদল। বরং পঞ্চায়েত সমিতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর দ্রুত অনাস্থা আনা হবে বলে শনিবার জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা।

Advertisement

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় বামনগোলা-সহ ২টি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে বিজেপি। বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির ১৮টি আসনের মধ্যে ১০টি দখল করে বিজেপি। ৮টিতে জয়লাভ করে তৃণমূল। বিধানসভার লড়াই শেষ হতেই বিজেপি-র ১০ সদস্যের মধ্যে ৪ জন তৃণমূলে নাম লেখান। এই মুহূর্তে ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে ১২টি আসনই তৃণমূলের দখলে চলে এল। ফলে বামনগোলায় রাজ্যের শাসকদল একক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। বামনগোলা ‘জয়ে’র পর তৃণমূলের মালদহ জেলার কো-অর্ডিনেটর হেমন্ত শর্মা বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের পর বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি-তে ভাঙণ দেখা দিয়েছে। বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির ৪ জন সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ আমরা। ২টো পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকা হবে।”

যদিও বিজেপি-র দাবি, ভয় দেখিয়েই তাঁদের নেতাদের দলে টেনেছে তৃণমূল। বিজেপি-র মালদহ জেলার সভাপতি গোবিন্দ্রচন্দ্র মণ্ডলের দাবি, “নানা জায়গায় হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে আমাদের দলের জনপ্রতিনিধিদের তৃণমূলে ঢোকানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement