রাজীবকে কালো পতাকা ডোমজুড়ে। —নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-তে যোগদানের পর প্রথম বার ডোমজুড়ে পা রেখেই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কালো পতাকা দেখানো হল তাঁকে। তার পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি সমর্থকরা। তার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। তবে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
তৃণমূলে থাকাকালীন এই ডোমজুড়েরই বিধায়ক ছিলেন রাজীব। সম্প্রতি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি। তার পর শনিবার ‘আর নয় অন্যায়’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে ডোমজুড়ে পা রাখেন। তার আগে অভয়নগর থেকে পঞ্চাননতলা পর্যন্ত দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে পদযাত্রায় অংশ নেন। কিন্তু সেখানে পা রাখতেই তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে।
রাজীব আসার আগে থেকেই তাঁর নামে কালো পতাকায় ছেয়ে গিয়েছিল গোটা এলাকা। একাধিক জায়গায় তাঁর ছবিতে জুতোর মালা পরানো হয়। এমনকি নানা পোস্টারও চোখে পড়ে। তাতে কোথাও লেখা ছিল, ‘বিশ্বাসঘাতক,’ কোথাও ‘ভাগ গদ্দার ভাগ’, কোথাও আবার ‘ভাগ মীরজাফর ভাগ’।
সকালে এলাকায় পৌঁছেই বিষয়টি নজরে পড়ে বিজেপি সমর্থকদের। কালো পতাকার পাশেই তৃণমূলের পতাকা থাকায়, জোড়াফুল শিবিরই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। বেলা বাড়তে সেই পরিস্থিতিতেই ডোমজুড়ে পা রাখেন রাজীব। কিন্তু পদযাত্রা শুরু হতেই হাতে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন একদল মানুষ। তার পাল্টা ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন রাজীবের সঙ্গীরা।
তার জেরে কয়েক মুহূর্তের জন্য পদযাত্রা থমকে গেলেও, কর্মীদের শান্ত করে ফের মিছিলে পা মেলান রাজীব। ভিড় ঠেলে এগিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের যোগসাজশ রয়েছে কি না জানতে চাইলে রাজীব বলেন, ‘‘হতাশা থেকে এ সব করা হচ্ছে। মানুষই জবাব দেবেন। আমরা রাজনৈতিক ভাবে জবাব দেব।’’
কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘কালো পতাকা দেখানোর সংস্কৃতি বিজেপি-র। আমরা এ সব করি না। এগুলো নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের চিন্তা ভাবনা। মোদী-শাহের উত্তরসূরিরাই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছেন। ওঁদের মধ্যে ভদ্র চিন্তা ভাবনা পাবেন না।’’