ফাইল চিত্র।
বিধানসভা ভোটে চমক দিয়ে লোকসভার চার সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তাঁদের মধ্যে দু’জন হেরে গিয়েছেন। যে দু’জন জিতেছেন, সব ঠিকঠাক থাকলে তাঁদেরও আর বিধানসভায় দেখা যাবে না। দুই সাংসদের জেতা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্ব ও বিধায়কদের বার্তা দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে এ ভাবে উপনির্বাচন চাপিয়ে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের শাসক দলকে কটাক্ষ করছে তৃণমূল।
কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এ বার বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন। শান্তিপুর ও দিনহাটা থেকে জিতেছেন রানাঘাট ও কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের দুই বিজেপি সাংসদ যথাক্রমে জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক। তাঁরা কেউ বিধায়ক হিসেবে শপথ নেননি, বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকেও আসেননি। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পরে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দুই জেলার নেতা ও বিধায়কদের বার্তা দিয়েছেন, সাংসদদের বিধানসভায় পাওয়া যাবে না ধরে নিয়েই তৈরি হতে হবে। দলের এক বিধায়কের কথায়, ‘‘আমাদের সরকার হলে ওই সাংসদদের বড় ভূমিকায় নিয়ে আসার কথা ভেবেই হয়তো তাঁদের বিধানসভায় প্রার্থী করা হয়েছিল। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি, তাঁরা সাংসদ-পদ ছেড়ে দিলে দু’টি লোকসভা আসনে উপনির্বাচনে যাওয়া বেশি ঝুঁকির হয়ে যাবে। তার চেয়ে দু’টি বিধানসভা আসন ছেড়ে দেওয়া ভাল।’’
করোনায় দুই প্রার্থীর মৃ্ত্যু হওয়ায় সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা আসনে ভোট স্থগিত আছে। ভোটের পরে করোনায় মৃত্যু হয়েছে খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহের। ভোটের ফলে তিনিই জিতেছেন। তাই খড়দহে উপনির্বাচন হবে। এর মধ্যে নিশীথ ও জগন্নাথবাবু বিধানসভা থেকে সরে দাঁড়ালে দিনহাটা ও শান্তিপুরেও উপনির্বাচন হবে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের মন্তব্য, ‘‘যারা নিজেদের পৃথিবীর বৃহত্তম দল বলে দাবি করে, তারা নির্বাচনে বিড়ম্বনার বিশ্ব রেকর্ড করে ফেলছে! নরেন্দ্র-অমিতেরাই আবার এক জাতি, এক ভোটের কথা বলেন!’’ তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপির দুই সাংসদ বিধায়ক হিসেবে থেকে গেলেও লোকসভার দু’টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন করতে হত। সুতরাং, সব দিক থেকেই ভোট চাপিয়ে দিচ্ছে বিজেপি।