প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল পরিদর্শশনে লকেট চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র
ডিজে-র তালে ‘খেলা হবে’ নাচ গান নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দক্ষিণেশ্বরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর ডানলপ কারখানার ক্যাম্পাসের মধ্যে রাজনৈতিক সভায় যোগ দেবেন মোদী। রবিবার মোদীর সভাস্থল পরিদর্শনের পর লকেটের খোঁচা, রাজনীতিকে ‘ডিজে রাজনীতি’র স্তরে নামিয়ে এনেছে তৃণমূল।
প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য চুঁচুড়া আদলতের মাঠ, চন্দননগর হাসপাতাল মাঠ এবং ডানলপ ক্যাম্পাসের মাঠ বিবেচনায় ছিল বিজেপির। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়েছে সাহাগঞ্জের ডানলপ ক্যাম্পাসের ভিতরের ময়দান। তার পরেই সেখানে চূড়ান্ত তৎপরতায় চলছে মঞ্চ বাঁধার কাজ। রবিবার সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন লকেট। তার আগে হুগলি জেলা বিজেপি কার্যালয়ে তিন সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন। পরে সভার মাঠ পরিদর্শনের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এখন থেকেই উৎসাহ তুঙ্গে।
কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি-র রাজ্য সদর কার্যালয়ের সামনে রবিবারই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কিছু বিজেপি কর্মী। সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি নেতাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদেই ওই বিক্ষোভে শামিল হন বিজেপি কর্মীরা। পরে লকেটের আশ্বাসেই সেই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আসে। হুগলিতে তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি নেতাকে পদ সরিয়ে দেওয়ায় কিছু বিজেপি কর্মী এসেছিলেন। আমরা বলেছি, সবাই থাকবেন।’’ কোনও বিক্ষোভ হয়নি বলেও দাবি করেছেন লকেট।
সম্প্রতি ‘কুমড়োর ঘ্যাঁট’ শিরোনামে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের একটি গান ভাইরাল হয়েছে। তা নিয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেত্রী বলেন, "খুব খারাপ লাগে বলতে, এরা রাজনীতিটাকে ডিজে রাজনীতি করে ফেলছে। আমরা মানুষের সেবার জন্য এসেছি। ডিজে বাজিয়ে, কুমড়ো পটল নিয়ে নাচ-গান— এ সব আমরা করি না।’’
দীর্ঘদিন ধরেই ডানলপ কারখানা বন্ধ। তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ রয়েছে। এ নিয়ে লকেট বলেন, ‘‘আমরা চাই, সব কারখানা খুলুক। কর্মসংস্থান হোক। মানুষ কাজ পাক। বিজেপি ক্ষমতায় এসে মানুষকে কাজ দেবে।’’