ছেলের নাবালিকা সহপাঠিনীকে যৌন নির্যাতনে ধৃত বিজেপি কর্মী

সোমবার রাতে ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানা এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিন্ময় মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চিন্ময় বিজেপির তফসিলি মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি। এখনও দলের সক্রিয় কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪১
Share:

আদালতে চিন্ময়। —নিজস্ব চিত্র

ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান। সেখানেই এসেছিল ছেলের সহপাঠিনী বছর এগারোর মেয়েটি। অনুষ্ঠান শেষে রাতে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করে বেরিয়ে গাড়ির মধ্যে সেই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল ছেলেটির বাবার বিরুদ্ধে।

Advertisement

সোমবার রাতে ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানা এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্ত চিন্ময় মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চিন্ময় বিজেপির তফসিলি মোর্চার প্রাক্তন জেলা সভাপতি। এখনও দলের সক্রিয় কর্মী।

তেলঙ্গানার ধর্ষণ-খুনে তোলপাড় গোটা দেশ। এরই মধ্যে বন্ধুর বাবার হাতে নাবালিকার যৌন নিগ্রহের অভিযোগে শোরগোল পড়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোরও।

Advertisement

আরও পড়ুন: মূক ও বধির মহিলাকে ট্রাকে তুলে ধর্ষণের চেষ্টা

আসবাব-ব্যবসায়ী বছর চল্লিশের চিন্ময়ের দোকান লাগোয়া বাড়িতেই সোমবার রাতে ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, অনুষ্ঠান শেষে চিন্ময়ই ওই নাবালিকাকে গাড়ি নিয়ে বাড়ি পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, পথে একটি মাঠে গাড়ি দাঁড় করান চিন্ময়। তারপর গাড়িতেই ওই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ।

এ দিকে, রাত সাড়ে ৯টাতেও মেয়ে বাড়ি না-ফেরায় চিন্ময়ের বাড়িতে যান ওই নাবালিকার বাবা। জানতে পারেন, চিন্ময় গাড়ি নিয়ে তাঁর মেয়েকে পৌঁছতে গিয়েছেন। বাড়ি আসার পথে মাঠের ধারে চিন্ময়ের গাড়ি দেখে সন্দেহ হয় ওই নাবালিকার বাবার। তারপর হাতেনাতেই তিনি চিন্ময়কে ধরেন বলে দাবি। ঘটনা জানাজানি হতেই চিন্ময়কে ঘিরে ধরে মারধর করেন স্থানীয়রা। তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। সোমবার রাতেই চিন্ময়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পকসো আইনে মামলা হয়। চিন্ময়কে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন ঝাড়গ্রাম বিশেষ আদালতের বিচারক।

বছর দু’য়েক আগে বেআইনি অস্ত্র মজুত রাখার অভিযোগে এক বার গ্রেফতার হয়েছিলেন চিন্ময়। পরে জামিন পান। চিন্ময় গত বছর ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের বেলপাহাড়ি ব্লকের একটি আসনে বিজেপির প্রার্থীও হয়েছিলেন। তবে হেরে যান। ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে তৃণমূল। চিন্ময়ের বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তৃণমূলের উদ্যোগে এ দিন ধিক্কার মিছিলও হয়।

এ দিন আদালত চত্বরে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে চিন্ময় বলেন, ‘‘তৃণমূল চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’’ যদিও বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী জানিয়েছেন, দলীয়স্তরেও ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement