বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও ছত্রধর মাহাতো। ফাইল চিত্র।
ক’দিন আগেও ছত্রধর মাহাতোকে মাওবাদী বলে আক্রমণ করতেন তিনি। বিজেপি-র সেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ বার ছত্রধরকে গেরুয়াশিবিরে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানালেন প্রকাশ্যেই।
সোমবার বিকেলে গোপীবল্লভপুরের একটি ক্লাবের উদ্যোগে জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠানে এসেছিলেন দিলীপ। সেখানে অনুষ্ঠান মঞ্চেই বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, ‘‘ছত্রধর মাহাতোকে বলছি, আপনি যে লড়াই মানুষের জন্য করেছেন, যাঁর জন্য করেছেন তিনি আপনাকে জেলে পাঠিয়েছিলেন। এখন ভোটের স্বার্থে আপনাকে জেল থেকে বের করে রাজ্য সম্পাদকের পদ দিয়ে, আপনার স্ত্রীকে চাকরি দিয়েছেন। ভুলে যাবেন না, দিদিমণি আপনাকে বোকা বানিয়েছিলেন। উনি সারা রাজ্যের মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন।’’
দিলীপের অভিযোগ, জঙ্গলমহলের ছত্রধরের মতো উত্তরবঙ্গে বিমল গুরুংকে পাহাড় থেকে নামিয়ে তাঁকে দেশদ্রোহীর মামলা দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের মানুষ এটা ভাল চোখে নেননি। তাই পঞ্চায়েতে, লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে গো-হারা হারিয়ে এলাকার ভোটারেরা বিজেপিকে জিতিয়েছেন। এরপরেই ছত্রধরের প্রতি দিলীপের আহ্বান, ‘‘আপনি আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন, এটা জঙ্গলমহলের আদিবাসী-মাহাতো মানুষ মানবে না। আসুন, বিজেপি সম্মান দেবে। আমরা যা বলি তাই করি।’’
আরও পড়ুন: সরকারি স্কুলে ভর্তি কবে, প্রশ্ন অভিভাবকদের
তবে কি ছত্রধর তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় জঙ্গলমহলে মাটি হারাচ্ছে বিজেপি? সে জন্যই কি এই শিবির বদলের আহ্বান?বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী অবশ্য প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘রাজ্য সভাপতির বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। উনি অত্যাচারিত, প্রতারিত সকলকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান করেছেন।’’
আরও পড়ুন: বিসর্জনের যাত্রায় সংযত চন্দননগর, বিতণ্ডা কৃষ্ণনগরে
আর দিলীপের বক্তব্য প্রসঙ্গে ছত্রধরের প্রতিক্রিয়া, ‘‘দিলীপবাবু কোথায় কী বলেছেন আমার জানা নেই। দিলীপবাবুরা অতীত ইতিহাসটা ভুলে গিয়েছেন। আমাকে জেলে পুরেছিল বাম সরকার। সেই বামেরাই এখন লাল জামা খুলে গেরুয়া জামা পরে জঙ্গলমহলে নতুন সন্ত্রাসের ছক কষছে।’’