প্রচার শুরু বিজেপির। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বুধবার সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন। আর বৃহস্পতিবার থেকে গোটা দেশে বাজেট প্রচার পক্ষ শুরু করল বিজেপি। সেই নির্দেশ পেয়েছে রাজ্য বিজেপিও। নির্দেশ মতো এক পক্ষ কাল জুড়ে নির্মলার বাজেট কতটা ‘কল্যাণকর’ তার প্রচার করবে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করেন, বৃহস্পতিবার বিজেপিশাসিত রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যত্র বিরোধী দলনেতা অথবা রাজ্য সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করে বাজেটের বাছাই অংশ তুলে ধরবেন। সেই মতো বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু শুরু করলেও এই প্রচার কর্মসূচি জেলায় জেলায় নিয়ে যেতে চায় রাজ্য বিজেপি। এ জন্য একটি কমিটিও তৈরি করা হয়েছে। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সহ-সভাপতি শমিত দাসকে। ঠিক হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি জেলায় একটি করে সাংবাদিক বৈঠক করা হবে। সেখানে জেলা সভাপতিরা তো থাকবেনই, সেই সঙ্গে স্থানীয় সাংসদ, বিধায়কেরাও সাংবাদিক বৈঠক করবেন। এর পরে প্রচার কর্মসূচি ব্লক স্তরেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য বিজেপির। তবে সেখানে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের পরিবর্তে ছোট ছোট সভা করা হবে।
বৃহস্পতিবার বাজেট নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী। — নিজস্ব চিত্র।
এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে প্রতিটি রাজ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আসবেন বলেও ঠিক হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। শুক্রবার রাতেই তিনি কলকাতায় চলে আসতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে শনিবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করবেন। সব বৈঠকেই একই কথা বলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাজেটের কোন কোন অংশ নিয়ে কথা বলা হবে, সে সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফেই তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
ওই তালিকায় মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীর সুবিধা করে দিতে কর কাঠামোয় বদলের কথা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে আবাস যোজনা-সহ গরিব ও প্রান্তিক মানুষের সুবিধার জন্য কোন কোন প্রকল্প আনা হয়েছে সে কথাও। একই সঙ্গে ঠিক হয়েছে, প্রতিটি জায়গায় গিয়ে আদিবাসী সমাজের জন্য এই বাজেটে কী কী প্রস্তাব রয়েছে তা বলা হবে। উল্লেখ করা হবে, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেমন ভারত দেখতে চাইছে বিজেপি এবং বাজেটে তার কী প্রতিফলন রয়েছে।
রাজ্য অনুযায়ী কিছু কিছু বিষয় ঢোকানোর নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এই রাজ্যের ক্ষেত্রে আবাস যোজনায় বরাদ্দ থেকে মৎস্যজীবীদের জন্য দেওয়া সুবিধার কথা বলে সেটাই বুঝিয়ে দেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘এই বাজেটের জন্য বাংলার পক্ষ থেকে আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে সাধুবাদ জানাতে চাই। কারণ, বাংলার উপকূল এলাকায় বসবাসকারী বড় সংখ্যার মানুষ মৎস্য চাষের উপরে নির্ভরশীল। এই বাজেটে তাঁদের কথা ভাবা হয়েছে।’’ মিড ডে মিল প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া নিয়ে তৃণমূল যে অভিযোগ তুলেছে তারও জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি দাবি করেন, কত পড়ুয়ার জন্য মিড ডে মিল প্রয়োজন, তার উপরে নির্ভর করে বরাদ্দ। সেই কারণেই প্রতি বছর পরিমাণ আলাদা আলাদা হয়।