উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্য নেতৃত্বের মতামতকে গুরুত্ব বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের। ফাইল চিত্র
তিন উপনির্বাচনে হারের পরদিনই বাকি চার উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর, প্রার্থী চয়নের ক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় বিজেপি-র সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মতামত জানতে চেয়েছিল শীর্ষ নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক নেতাই চার বিধানসভা উপনির্বাচনে স্থানীয় প্রার্থীর পক্ষে মত দেন। প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলা সভাপতি, মণ্ডল সভাপতি ও শক্তি প্রমুখের মতামতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন নেতারা।
পাশাপাশি, দিনহাটা ও শান্তিপুরের ক্ষেত্রে এলাকার বিজেপি সাংসদদের মতামত নেওয়ার কথা বলেছেন তাঁরা। কারণ, বিধানসভা ভোটে দিনহাটায় কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তিপুর আসনে রাণাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার প্রার্থী হয়েছিলেন। প্রত্যেক বিধানসভা থেকে স্থানীয় নেতৃত্বের বাছাই করা দু'টি নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে বলেই রাজ্য বিজেপি সূত্রে খবর। রাজ্য বিজেপি-র এক নেতার কথায়, স্থানীয় স্তর থেকে নেতৃত্ব তুলে আনাই বিজেপি-র লক্ষ্য। তাই রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে প্রার্থী না চাপিয়ে দিয়ে স্থানীয় মতামতকে গুরুত্ব দিতে চায় বিজেপি।
শান্তিপুর ও দিনহাটা আসনটি ধরে রাখতে চায় গেরুয়া শিবির। তাই শান্তিপুরের মতুয়া ও রাজবংশী ভোটের প্রতি নজর রয়েছে তাঁদের। আর দিনহাটায় রাজবংশী ভোটের আধিক্য থাকায় সে দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বলেই খবর। ঘটনাচক্রে রবিবার ভবানীপুর উপনির্বাচন জিতেই নিজের বাসভবনে দাঁড়িয়ে চার উপনির্বাচনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার বামফ্রন্ট তাদের চার প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। বিজেপি ও কংগ্রেস প্রার্থীদের নাম ঘোষণার অপেক্ষায় রাজনীতির কারবারিরা।