প্রতীকী ছবি।
প্রতি বিধানসভায় দু’জন করে ‘হোলটাইমার’ পাঠাচ্ছে বিজেপি। আগামী মাসেই জেলায় জেলায় পৌঁছে যাবেন দলের এই সর্বক্ষণের কর্মীরা। এঁদের জন্য বাইক, স্মার্টফোন, থাকার ব্যবস্থা করতে হবে জেলা বিজেপিকে। খরচ বহন করবে জেলা কমিটিকে। গত বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে থেকে জেলায় জেলায় সর্বক্ষণের কর্মী পাঠিয়েছিল বিজেপি। ভোটে হারের পরে তাঁদের তুলে নেওয়া হয়েছিল। আবার আগের নিয়মেই ফিরছে বঙ্গ বিজেপি। দলীয় সূত্রের দাবি, পঞ্চায়েত ভোট নয়, লোকসভা ভোটের দিকে নজর রেখেই বিধানসভা-ভিত্তিক কর্মী পাঠাচ্ছে বিজেপি।
তবে, এ বার ফারাক এসেছে সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগের মাপকাঠিতে। গত বিধানসভায় বিভিন্ন জেলায় এমন অনেক সর্বক্ষণের কর্মী পাঠানো হয়েছিল, যাঁরা মাধ্যমিক পাশ। এ বার ন্যূনতম মাপকাঠি স্নাতক। গত বার বিজেপির অন্দরেই অভিযোগ উঠেছিল, ভিন্ রাজ্য থেকে অবাঙালি নেতাকর্মীরা এসে জেলায় জেলায় ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। এ বার রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জানানো হয়েছে, যে সব কর্মী পাঠানো হচ্ছে, তাঁরা রাজ্যেরই বাসিন্দা এবং বাংলা ভাষা জানেন। বাংলার সঙ্গে ইংরেজিতেও স্বচ্ছন্দ, এমন কর্মীদেরই পাঠানো হচ্ছে। বিজেপির জলপাইগুড়ি সাংগঠনিক জেলায় আটটি বিধানসভা ক্ষেত্র রয়েছে। আগামী মাসেই ১৬ জন সর্বক্ষণের কর্মী পৌঁছবেন জেলায়।
বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর মন্তব্য, ‘‘সংগঠনের কাজ অনেক ভাবে হয়। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সে সব সিদ্ধান্ত নেন। দলের অভ্যন্তরীণ কাঠামো। এ সব নিয়ে চর্চার অবকাশ নেই। তবে আমাদের দল মানুষের পাশে থাকে বলেই কর্মিবলের প্রয়োজন হয়।’’
সর্বক্ষণের কর্মীদের কাজ হবে এলাকায় দলের কর্মসূচি দেখা এবং স্থানীয় নেতাদের কাজকর্ম নিয়ে রাজ্যস্তরে রিপোর্ট পাঠানো। বিভিন্ন বিষয়ে এলাকার বাসিন্দাদের মত কী, তাও জানতে হবে এই কর্মীদের। এক নেতার কথায়, ‘‘হয়তো এই কর্মীরা জেলা নেতাদের উপর গোয়েন্দাগিরি করবেন।’’ এই কর্মীরা কত দিন জেলায় থাকবেন, তা জানানো হয়নি।