প্রতীকী ছবি।
নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কোচবিহারে। অভিযোগ, বাবার সঙ্গে বিয়ের আসরে বরযাত্রী গিয়ে ধর্ষিতা হয়েছে ঘোকসারডাঙ্গা থানার অন্তর্গত রামঠেঙ্গা এলাকার এক নাবালিকা।
অভিযোগ রবিবার রাতে পূর্ব মুকুলডাঙ্গায় বরযাত্রী গিয়েছিল ওই নাবালিকা। টিফিন করে রাত্রি সাড়ে ১২টা নাগাদ হাত ধোয়ার জন্য বাইরে বেরোলে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ওই নাবালিকাকে মুখ চাপা দিয়ে টেনে নিয়ে যায় ওই এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত প্রামাণিক নামে এক যুবক। এরপর তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই নাবালিকা কিছুক্ষণ বাদে চিৎকার করে বিয়ের মণ্ডপে গিয়ে পড়ে যায়। ওই নাবালিকার কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনে পরিবারের লোকজন ওই তাকে প্রথমে ফালাকাটা হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে রেফার করা হলে তাকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ওই ঘটনার পর আজ কোচবিহার জেলা বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে নাবালিকাকে দেখতে হাসপাতালে যান সংগঠনের প্রতিনিধিরা। মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী মিনতি দাস ঈশ্বর বলেন, ‘‘অভিযুক্ত দেবব্রত প্রামাণিক তৃণমূল কর্মী। পরিকল্পিত ভাবে বিজেপি কর্মীর নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এই অবস্থায় পুলিশ ধর্ষিতার পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, যাতে পরিবারের লোকজন কারও- সামনে মুখ না খোলে।’’
তিনি আরও অভিযোগ করেন পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে চাপের মুখে পড়ে আজ সন্ধ্যায় অভিযোগ জমা নেয়। নাবালিকার বাবা বলেন, ‘‘দেবব্রত আমার মেয়েকে অন্ধকারে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। আমরা দোষীর উপযুক্ত শাস্তি চাই। আমার মেয়ে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।’’
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ মন্ত্রী তথা মাথাভাঙার তৃণমূল বিধায়ক বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলেরর কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল ওই বিয়ে বাড়িতে পাহারায় ছিল না। তবে যতটুকু শুনেছি দু’জনের মধ্যে একটা সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই কোনও ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটির পাশাপাশি ছেলেটিও অসুস্থ। ছেলেটির জিহ্বা নাকি মেয়েটি দাঁত দিয়ে কেটে দিয়েছে। সেও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনা যাই হোক পুলিশ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এর মধ্যে তৃণমূল কোনও ভাবেই নাক গলাবে না।”