বিজেপি-তৃণমূল বিপদ উভয়েই, বার্তা সূর্য-সীতার

আলিমুদ্দিনে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সিপিএমের রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠক। লোকসভা ভোটের ফলাফলের বিশদ পর্যালোচনা এবং সাংগঠনিক হালের বিশ্লেষণ হচ্ছে সেখানে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ০৪:০৪
Share:

Sitaram Yechury

বিজেপির রাজনৈতিক মোকাবিলা তৃণমূলকে দিয়ে হচ্ছে না। লোকসভা ভোটের পরে বাংলার পরিস্থিতিই তার জ্বলন্ত উদাহরণ। এই প্রেক্ষাপট সামনে রেখে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দল— কারও সম্পর্কেই ‘নরম’ মনোভাব চলবে না বলে রাজ্য কমিটিতে কড়া বার্তা দিল সিপিএম।

Advertisement

আলিমুদ্দিনে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে সিপিএমের রাজ্য কমিটির দু’দিনের বৈঠক। লোকসভা ভোটের ফলাফলের বিশদ পর্যালোচনা এবং সাংগঠনিক হালের বিশ্লেষণ হচ্ছে সেখানে। বৈঠকের শুরুতেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তৃণমূলের মদতে বিজেপির মোকাবিলা বা বিজেপির সাহায্য নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই— দুই প্রবণতাই বিপজ্জনক। বরং, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট করে দু’দলের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। এই নিয়ে দলে আর বিতর্ক দরকার নেই এবং দলও আর কাউকে কৈফিয়ত দিতে চায় না বলে কড়া ভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক।

বৈঠকের বিরতিতে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি একই মনোভাব প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনে যেতে তাঁদের যে কোনও আপত্তি বা অসুবিধা নেই, ফের বলেছেন সে কথাও। বস্তুত, সিপিএম ও কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বের ফের একত্রে পথে নামার কর্মসূচিও ঠিক হয়েছে। ভাটপাড়াতেই আগামী শুক্রবার দ্বিতীয় বারের জন্য যৌথ ভাবে কর্মসূচিতে দেখা যাবে সিপিএমের সূর্যবাবু, বিমান বসু এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রদের। তবে কারও দলীয় পতাকা সেখানে থাকবে না এবং বাম শরিকেরাও তাতে যোগ দেবে।

Advertisement

কিছু দিন আগেই সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য মন্তব্য করেছিলেন, ‘জয় শ্রীরাম’ বলে যদি কাউকে আক্রমণ করা হয়, তা হলে তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক থাকলে তাঁর সঙ্গেই তিনি আক্রান্তকে বাঁচাতে যাবেন। তাঁর ওই মন্তব্যে দলে বিতর্ক বাধে, সকলকে সতর্ক হয়ে কথা বলার জন্য হুঁশিয়ারিও দেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সূর্যবাবু এ দিন রাজ্য কমিটিতেও বলেছেন, কেউ কেউ নানা মন্তব্য করছেন। কিন্তু তৃণমূলের প্রতি নরম হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই হবে না। উল্টোটাও চলবে না।

ইয়েচুরিও বলেন, ‘‘তৃণমূল রাজনীতি দিয়ে বিজেপির মোকাবিলা করতে পারছে না। ভাটপাড়ার পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দু’মাস হয়ে গেল, স্কুল বা কারখানা ঠিকমতো খুলছে না। দু’মাসে একটা জায়গায় স্বাভাবিকতা আনা গেল না?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘তৃণমূলের রাজত্বেই বাংলায় আরএসএসের শাখা বহু গুণ বেড়েছে। তৃণমূলের জমানায় বিজেপির বৃদ্ধি হয়েছে। এটা এক ধরনের আঁতাঁত।’’ এর পাশাপাশি, দলের জন্য সাংগঠনিক রূপরেখা রাজ্য কমিটিতেই দেওয়া হবে বলে ইয়েচুরি জানান। চার বছর আগের কেন্দ্রীয় প্লেনামের সুপারিশ কতটা কার্যকর হয়েছে, তার উপরে জেলাওয়াড়ি রিপোর্ট নিয়ে রাজ্য কমিটিতে আলোচনা হচ্ছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement