ফাইল চিত্র।
ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লের খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বারস্থ হল বিজেপি। দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়, রাজ্যের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার এবং বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত রবিবার রাজভবনে গিয়ে সিবিআই তদন্তের জন্য দাবিপত্র দেন। পরে মুকুলবাবু বলেন, ‘‘মৃতের বাবা যাদের নামে এফআইআর করেছেন, তাদের ডাকাও হচ্ছে না। মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নামে প্রহসন চলছে। আমরা জানি, কোনও ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্যপালের হাতে নেই। তবু রাজ্যের নাগরিক হিসাবে তাঁকেই জানালাম, কী চলছে।’’ তৃণমূল অবশ্য মণীশ-খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিকে বিজেপির ‘বিশৃঙ্খলা’ তৈরির চেষ্টা হিসাবে দেখছে।
বস্তুত, মণীশ খুন হওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই বিজেপি ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়। মণীশ যে বিজেপি সাংসদের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিলেন, সেই অর্জুন সিংহ বার বার অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল এবং পুলিশের যোগসাজসেই ওই খুন হয়েছে। তাই রাজ্যের কোনও সংস্থার তদন্তে তাঁদের আস্থা নেই। সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতেও যাবেন বলে জানিয়েছিলেন অর্জুনবাবু।
রাজ্যপালকে দেওয়া এ দিনের চিঠিতে মুকুলবাবুরাও লিখেছেন, ‘খুনের ধরন বলে দিচ্ছে, এর মধ্যে শাসক দলের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র আছে এবং পুলিশ তাতে সাহায্য করেছে। সিআইডি সত্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা না করে দোষীকে আড়াল করার এবং বিজেপির নির্দোষ কর্মীকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তাই আমরা ওই ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করছি’।
আরও পড়ুন: দিন বদলায়, ছাতা বদলায়, তবু চলতেই থাকে মস্তান-রাজ
যদিও বিজেপি নেতৃত্বের ওই দাবিকে তৃণমূল ‘অযৌক্তিক’ বলে মনে করছে। তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ওই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত হচ্ছে। যাদের রাজ্য সরকারের তদন্তে আস্থা নেই, তারা বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য এই রকম করছে। রাজভবনকে তারা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে।’’