শাহী দফতরে সুকান্ত, মনোজ।
বগটুই-কাণ্ডের রিপোর্ট বুধবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতির কাছে জমা দিয়েছিল বিজেপি-র সত্যান্বেষী দল। বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও জমা দিলেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শাহের দফতরে সুকান্তের সঙ্গে গিয়েছিলেন বিধানসভায় বিজেপি-র মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা। বিধানসভায় তিনি এবং বিজেপি-র অন্য বিধায়কেরা তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অমিতের কাছে নালিশ জানিয়েছেন মনোজ। এই প্রসঙ্গে সুকান্তের দাবি, দু’টি বিষয় নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শাহ।
বগটুইয়ের ঘটনা জানার পরেই গত ২২ মার্চ দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা পাঁচ সদস্যের একটি সত্যান্বেষী কমিটি তৈরি করে দেন। সেই কমিটিতে সুকান্তের পাশাপাশি ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশকর্তা তথা আইপিএস ভারতী ঘোষ। উল্লেখযোগ্য ভাবে দলের বাকি তিন সদস্য প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি তথা রাজ্যসভার সাংসদ ব্রজলাল, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার তথা সাংসদ সত্যপাল সিংহ এবং কর্নাটকের প্রাক্তন আইজি কেসি রামমূর্তি। বুধবার সেই কমিটি নড্ডাকে ২৩ পাতার একটি রিপোর্ট জমা দেয়। সেখানে দাবি করা হয়, তোলাবাজির টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গোলমাল থেকেই এই হত্যাকাণ্ড। বগটুই হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি ভাদু শেখ খুনের তদন্ত সিবিআই-এর হাতে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার একই দাবি জানানো হয়েছে শাহের কাছে।
অন্য দিকে, গত সোমবার বগটুই-কাণ্ড নিয়ে বিতর্কের জেরে বিধানসভায় বিজেপি ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হতে দেখা যায়। এই ঘটনায় দু’দলের পক্ষেই বিধায়কদের জখম হওয়ার দাবি জানানো হয়। বিজেপি সবচেয়ে বেশি সরব হয় মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজের আহত হওয়া নিয়ে। তাঁর পাজরের হাড় ভেঙেছে বলেও দাবি করা হয়। তা নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গে মনোজ বলেন, ‘‘আমার চোট কতটা, তা নিয়ে বিতর্কের কোনও কারণই নেই। রিপোর্ট আমি তৈরি করিনি, চিকিৎসকেরা দিয়েছেন।’’