স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিধানসভার সচিবের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিল বিজেপির পরিষদীয় দল। মঙ্গলবার ৫০ জন বিজেপি বিধায়কের স্বাক্ষর সম্বলিত প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভার সচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সচিব সুকুমার রায়ের কাছে প্রস্তাবটি জমা দেওয়া হয়েছে।
গত বছরও স্পিকার বিমানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিল বিজেপি। তবে তা গৃহীত হয়নি। বিধানসভার চলতি অধিবেশনে একাধিক বিষয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনে আলোচনার দাবি করেছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কিন্তু সেই সব প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার।
বিধানসভার সচিবকে দেওয়া চিঠিতে স্পিকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কেন স্পিকার বিমানকে তাঁর পদ থেকে সরানো উচিত, সেই বিষয়ে ১৮টি যুক্তি দিয়েছে বিজেপির পরিষদীয় দল। স্পিকারের বিরুদ্ধে পদ্মশিবিরের প্রধান অভিযোগ, জনজীবনের সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হলেও তিনি তা নিয়ে আলোচনা করতে দেন না। উল্টে বিধানসভার সঙ্গে সংযোগ নেই— এমন বিষয় নিয়ে শাসকদলের বিধায়কদের আলোচনা করতে দেন। বিজেপির আরও অভিযোগ, স্পিকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে বিমান শাসক তৃণমূলের বিধায়কদের বিরোধী বিধায়কদের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনতে উৎসাহ দেন।
পরে বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “আমরা চাই চলতি অধিবেশনে আর যে কয়েকটি দিন অবশিষ্ট রয়েছে, সেগুলিতে আমাদের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হোক।” বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, স্পিকার কেবল একটি দলের হয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণই করছেন না, সংবিধানেরও অবমাননা করছেন।
তবে বিজেপির এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে পদ্মশিবিরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দলের সংখ্যালঘু সেলের প্রধান তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেন এই প্রসঙ্গে বলেন, “বিজেপি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই সব প্রস্তাব আনছে। আগেও তারা এই চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হয়নি। এ বারেও হবে না।”