গাড়ি আটকে দেওয়া হয় ভারতী ঘোষের। ছবি: নিজস্ব চিত্র।
সভা করতে যাওয়ার সময় বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষের গাড়ি আটকাল পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ এবং বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভিড়ের মধ্যে এক মহিলা পুলিশকর্মীকে নিগ্রহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের কণ্ঠবাড়িতে যাচ্ছিলেন ভারতী ঘোষ। কণ্ঠবাড়িতে কিছু দিন আগে খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডলকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই এ দিন কন্ঠবাড়িতেই সভা করতে যাচ্ছিলেন ভারতী ঘোষ।খেজুরিতে ঢোকার আগেই পুলিশ ভারতীর গাড়ি আটকায় বলে অভিযোগ। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকেরা। গাড়ি আটকানোর প্রতিবাদে পথে বসে পড়েন ভারতী। এর পরেই বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ধাক্কাধাক্কিতে ভিড়ের মধ্যে রাস্তায়পড়ে যান এক মহিলা পুলিশকর্মী। অভিযোগ, তাঁকে ঘিরে ধরেন বিজেপি সমর্থকেরা। কয়েক জন তাঁকে ধাক্কা দেয় বলেও অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, খেজুরি থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মীও এই ঘটনায় আহত হয়েছেন। বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে ইট ছোড়াও অভিযোগ উঠেছে। যদিও এই ঘটনা অস্বীকার করেছে বিজেপি।
ছেলেকে গাড়িতে আটকে দিঘায় সমুদ্র স্নানে বাবা-মা, মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে আনল পুলিশ
পরে ভারতী বলেন, “আমাকে আটকানো হয়েছে। কিন্তু এ সব করে কিছু করা যাবে না। মানুষের মনে প্রচুর ক্ষোভ। মায়েদের, বোনেদের যা অভিযোগ শুনলাম, তাতে খুবই খারাপ বিষয়। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে। তৃণমূল না করলে এখানে থাকা যাবে না। এমন পরিস্থিতি চলছে। মানুষের মনেক মধ্যে বিজেপি বসে গিয়েছে।”মহিলা পুলিশকে হেনস্থা করার প্রসঙ্গ অবশ্য তিনি এড়িয়ে যান। ভারতী বলেন,“আমিও মার খেয়েছি। ওই দিকে আমি ছিলাম না। হাজার হাজার লোক দেখেছে আমরা মার খেয়েছি।”