জেপি নড্ডা ও বাবুল সুপ্রিয় কথা হতে পারে সোমবার সন্ধ্যায়। ফাইল চিত্র
রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। বলেছেন, আসানসোলের সাংসদ পদও ছেড়ে দেবেন। শনিবার নেটমাধ্যমে সেই ঘোষণার পরে ৪৮ ঘণ্টা কাটতে চললেও কোনও পদক্ষেপই করেননি বাবুল। এরই মধ্যে বিজেপি সূত্রে খবর, বাবুলের অভিমান ভাঙাতে সোমবার সন্ধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন বাবুল। একটি সূত্রের দাবি, সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গেরুয়া শিবিরের অনেকেই বলছেন, ইতিমধ্যেই নড্ডা ও শাহর সঙ্গে বাবুলের টেলিফোনে কথা হয়েছে। সোমবারের বৈঠকে বাবুলকে বিজেপি-তে রাখার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। প্রাক্তন মন্ত্রীকে দেওয়া হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্বও।
শনিবার বাবুল প্রথমে রাজনীতি ছাড়ছেন ঘোষণা করে জানিয়েছিলেন অন্য কোনও দলেই তিনি যোগ দিচ্ছেন না। এর পরে তিনি কেন সাংসদ পদ ছাড়ছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তৃণমূল। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও সংবাদমাধ্যমের কাছে জানতে চান, ‘‘উনি কি ইস্তফা দিয়েছেন, খোঁজ নিন।’’ এর পরে পরেই বাবুল নিজের ফেসবুক পোস্ট এডিট করে জানান, তিনি খুব তাড়াতাড়ি ইস্তফা দেবেন। মন্ত্রী ও সাংসদ হিসেবে পাওয়া দিল্লির বাড়িও ছেড়ে দেবেন।
বিতর্ক যদিও থামেনি। সোমবার সকালেও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বাবুলের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কুণাল শনিবার লেখেন, ‘আসলে উনি গান করতেন। এখন নাটক করছেন।’ আর রবিবার সন্ধ্যায় লেখেন, ‘কী বাবুল, গল্প তৈরি তো?’ কুণাল নিজের মতো যুক্তিও সাজিয়েছেন। লিখেছেন, ‘মোদীজি, নড্ডাজিরা বললেন না ছাড়তে... স্পিকার চিঠি নিতে চাইলেন না... চিঠিতে টেকনিক্যাল ভুল রয়ে গেল... চিত্রনাট্য তৈরি? আবার বলছি, নাটক। কাঁচা হাতে লেখা নাটক। হয় ইস্তফা, না হলে নাটক স্বীকার করে পোস্ট করলে ভাল হয়।’ আর সোমবার নড্ডা-বাবুল বৈঠকের সম্ভাবনার খবর সামনে আসতেই কুণাল লিখেছেন, ‘আমি তো প্রথম থেকেই বলছি বাবুল নাটক করছেন। অপমানজনকভাবে মন্ত্রিত্বহারা কোণঠাসা বাবুল দিল্লির নজর টানতে ফেসবুককে ব্যবহার করেছেন তিনি। ইস্তফা দেওয়ার হলে স্পিকারকে দিতেন। এখন কোন কোন নেতার অনুরোধ দেখিয়ে নাটকের প্রত্যাশিত শেষদৃশ্যে পর্দা ফেলবেন, তার চিত্রনাট্য সাজানো চলছে।’