টুইট করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্য বিজেপি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রিপুরা সফরের শুরুতেই কনভয়ে হামলা। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের গাড়িতেই লাঠির আঘাত। সঙ্গে বিজেপি-র পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের মুখো ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান। তবে সেটা দলের বিক্ষোভ বলে মানতে নারাজ বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র পক্ষে টুইট করে বলা হয়েছে, ‘বাংলায় বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে এমন আচরণ রোজকার ব্যাপার।এখন দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের হিংস্র কর্মীদের ত্রিপুরায় পাঠানো হয়েছে।’
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘কিছুই হয়নি। আমাদের উপরে এমন রোজই হয়। আর ওঁরা বাংলার বাইরে যেখানে যাবেন, সেখানেই এমন হবে। বাংলায় যে সন্ত্রাস চলছে, তাতে গোটা দেশের বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের উপরে ক্ষেপে রয়েছেন।’’
সোমবার সকালে আগরতলা থেকে উদয়পুরে মাতাবাড়ি এলাকায় অভিষেক পৌঁছনো মাত্রই তাঁকে দেখে ‘গো -ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে গাড়িতেও আঘাত করেন বিজেপি কর্মীরা। এমনটাই অভিযোগ ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা কলকাতা থেকে আগরতলার উদ্দেশে রওনা হন অভিষেক। তাঁর পৌঁছানোর আগেই ‘অভিষেক ব্যানার্জি গো-ব্যাক’ স্লোগান দেন বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকরা। এর পরে টুইটে অভিষেক লেখেন, ‘বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্র! বিপ্লববাবু এই রাজ্যকে নতুন পথে নিয়ে গিয়েছেন।’ তার জবাব দিতে গিয়ে অভিযোগ অস্বীকার করল বিজেপি। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ‘অপেক্ষা করুন। আগামী দিনে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষও এমন আচরণ করবে।’
উল্লেখ্য, অভিষেকের ত্রিপুরা সফরের সময় বিজেপি-র উদ্যোগে বিক্ষোভ দেখানো হতে পারে বলে আগেই লিখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। গত ২৮ জুলাই এই খবর পাওয়ার পরে ত্রিপুরার বিজেপি নেতারা অবশ্য তা অস্বীকার করেছিলেন। একই সঙ্গে জনরোষের সম্ভাবনার কথাও বলেছিল। ত্রিপুরা বিজেপি-র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মণ আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘‘দলের এমন কোনও পরিকল্পনা নেই। আমরা সকলকেই স্বাগত জানাতে তৈরি। তবে কেউ জনরোষের মুখে পড়লে তার দায় তো বিজেপি নিতে পারে না।’’ সোমবার দেখা গেল, সত্যিই বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক। তবে কিশোরকে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া দেননি।