ধর্মতলার পথে বিজেপির মিছিল। নিজস্ব চিত্র
গত শনিবার এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)-র হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ঘনিষ্ঠের দু’টি বাড়ি থেকে বিপুল অর্থ উদ্ধারের পরে ইতিমধ্যেই পার্থকে তৃণমূল বহিষ্কার করতে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবারের এমন সম্ভাব্য পদক্ষেপের দিনেই পার্থের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল বের করল রাজ্য বিজেপি। কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা মিছিলে রয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিংহ। তবে অনুপস্থিত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার বামেদের তরফেও একটি মিছিল করা হয়।
পার্থ-কাণ্ড সামনে আসার পর থেকে বিজেপির উদ্যোগে বিক্ষিপ্ত ভাবে কলকাতা-সহ রাজ্যের কিছু জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন হলেও কলকাতায় বড় মাপের কিছু হয়নি। মহুয়া মৈত্র দেবী কালীকে অপমান করেছেন বলে বিজেপি যে অভিযোগ তুলেছিল, তার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার গেরুয়া শিবিরের পক্ষে কালীপুজোর আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু শেষবেলায় তা বাতিল করে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। প্রথমে কলেজ স্ট্রিটে জমায়েতের পরে মিছিল শুরু হয়েছে। সেই মিছিলে দেখা যায়, এক বিজেপি কর্মীকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাজিয়ে তাঁর কোমরে দড়ি বাঁধা হয়েছে। ওই ব্যক্তির গলায় পেঁয়াজের মালাও পরানো হয়েছে।
বিজেপির মিছিলে সাজানো পার্থ। নিজস্ব চিত্র
বুধবার কলকাতায় মিছিল বের করেছিল সিপিএম। তার পরে বৃহস্পতিবার বিজেপির। তবে এই মিছিল ঘিরে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই দলের সর্বভারতীয় নেতা রাহুল বলেন, ‘‘এত দিন শুনেছি লোকে রাত জেগে ভোটের ফলাফল দেখেন। গতকাল দেখলাম, টাকা গোনার ফলাফল দেখতে মানুষ রাতভর অপেক্ষা করছেন। সবার কৌতূহল একুশ পার হয় না কি একুশের নীচে থাকে। এই অবস্থা বাংলায় কখনও ছিল না। যে ভেলকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখালেন এর পর কোনও মুখে কথা বলেছেন? আমি পরিষ্কার বলছি, এই টাকা তৃণমূলের টাকা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় উপলক্ষ মাত্র। এই টাকার সামান্য একটা অংশ বেরিয়েছে। হাজার কোটি টাকাও বেরিয়ে যেতে পারে।’’