প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মাঝে অধিবেশন ডাকায় ক্ষোভ এবং আপত্তি জানালেও বিধানসভা বয়কটের পথে যাচ্ছে না বিরোধী দল বিজেপি। অধিবেশনের প্রথম দিন শোকপ্রস্তাবের সময়ে বিজেপি বিধায়কেরা অংশগ্রহণ করবেন। অধিবেশনের শেষের দিকেও যাঁরা বিধানসভায় আসবেন, পরিস্থিতি বুঝে তাঁরা অধিবেশনে থাকবেন। তবে উৎসবের দিনগুলোয় বিজেপি বিধায়কেরা নিজেদের এলাকায় থাকবেন। উৎসবের ছুটির দিনে এমনিতেই বিধানসভা বন্ধ থাকবে বলে ফের জানিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বিরোধীদের উদ্দেশে অনুরোধ জানিয়েছেন অধিবেশনে অংশগ্রহণ করার।
কালী পুজো এবং আদিবাসীদের একাধিক পরবের সময়ে অধিবেশন হলে তাঁদের পক্ষে অংশগ্রহণ করা অসুবিধাজনক জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলের সচেতক মনোজ টিগ্গা। স্পিকার তাঁকে জানিয়েছিলেন, ‘বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণে’ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। উৎসবের ছুটির দিন বিধানসভা বসবে না, বাকি সময়ে বিরোধীরা যাতে অংশগ্রহণ করেন, সেই কথাই বলেছিলেন স্পিকার। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার বলেন, ‘‘এই সময়ে সনাতন ধর্ম এবং আদিবাসীদের নানা অনুষ্ঠান, উৎসব রয়েছে। যাঁরা ধর্মকে আফিম বলে মনে করেন, সেই বামপন্থীরাও কখনও এই রকম সময়ে অধিবেশন ডাকেননি! আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু একই সঙ্গে মানুষের আবেগকেও আমাদের মর্যাদা দিতে হবে।’’ শোকপ্রস্তাবের দিনে তাঁরা বিধানসভায় থাকবেন এবং অন্যান্য দিনগুলোয় বিধায়কেরা নিজেদের এলাকায় উৎসবে মানুষের পাশে থাকবেন বলে শুভেন্দু জানিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে স্পিকার বিমানবাবু বলেছেন, ‘‘আমি শুনেছি ওঁদের কথা। তবে আমি আবার অনুরোধ করছি অধিবেশনে থাকার জন্য।’’
আগামী ১ নভেম্বর শোকপ্রস্তাবের মাধ্যমে অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা। সে দিনই তার আগে কার্য উপদেষ্টা ( বি এ) কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে অবশ্য বিরোধীরা যাবে না। শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘‘আমরা প্রথমে বি এ কমিটিতে যেতাম। কিন্তু অন্যায় ভাবে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদে এক জন দলত্যাগী বিধায়ককে বসানোর প্রতিবাদে আমরা ওই বৈঠকে এখন যাচ্ছি না।’’