প্রতীকী ছবি।
শিক্ষিকাকে বেঁধে নিগ্রহের পশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরে পরপর দুই যুবতীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে কথা তুলে ধরে শুক্রবার সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি সাংসদরা। রাজ্যের পাশাপাশি জেলাতেও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কারণে বারবার এমন ঘটছে বলে অভিযোগ করেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। ছিলেন উত্তরবঙ্গের সাত বিজেপি সাংসদও।
গঙ্গারামপুরের নন্দনপুরে বিজেপি কর্মী, শিক্ষিকা স্মৃতিকণা দাস ও তাঁর দিদিকে মারধরের অভিযোগে তৃণমূলের উপপ্রধান সহ তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। পলাতক আরও দু’জন। জানুয়ারিতে গঙ্গারামপুরের পঞ্চগ্রামের বাসিন্দা যুবতীকে ধর্ষণ-খুনে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। গ্রেফতার করে চার্জশিটও জমা দেওয়া হয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে গঙ্গারামপুরের জাহাঙ্গিরপুর বাগানবাড়ির পুনর্ভবা নদীর ধারে যুবতীর অর্ধনগ্ন গলাকাটা দেহ পাওয়া যায়। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ৬ মাসে জেলায় ঘটে যাওয়া ওই তিনটি নৃশংস ঘটনা ও কলকাতায় বৌমাকে বাঁচাতে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে পিষ্ট হয়ে শ্বশুরকে হত্যার ঘটনা তুলে ধরে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে শুক্রবারও দিল্লির সংসদ ভবনের বাইরে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে সরব হন সাংসদরা।
সুকান্ত জানান, চাপের মুখে পুলিশ অপরাধীদের গ্রেফতার করলেও, পেছনে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জানান, সবগুলি ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনি পদক্ষেপ করেছে। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষের নজর ঘোরাতে বিজেপি এ সব করছে বলে অর্পিতা দাবি করেন।