লকেট চট্টোপাধ্যায় নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় শাসকদলের কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হচ্ছেন দলের কর্মীরা। এমনই অভিযোগ বিজেপির। হুগলি জেলাতেও বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এই অভিযোগ নিয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট বলেন, "এত বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন, এত ঘরছাড়া হচ্ছেন যে আমরা কয়েকজনের খোঁজ পাচ্ছি না। কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে। বাড়িতে মহিলারা একা। রাতের দিকে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই কথাই পুলিশ কমিশনারকে জানাতে এসেছি।"
লকেট বলেন, "রাজনীতিতে হার-জিত থাকবেই। কিন্তু আমি জিতে গিয়েছি বলে সব লুঠ করে নেব, অত্যাচার করব, মানুষকে ঘরছাড়া করব, এটা চলতে পারে না। পুলিশকে বলেছি। কয়েকজনকে পাঠিয়েছে। কিন্তু কয়েকটি জায়গায় পুলিশ থাকছে না। ওরা রাতের বেলায় হামলা করছে। পুলিশ যখন যাচ্ছে তখন কেউ নেই। পুলিশ চলে যেতেই আবার মারছে। পুলিশ কমিশনার বলেছেন, থানায় লিস্ট দিতে। ৭-৮ হাজার লোক ঘরছাড়া। চুঁচুড়া, বলাগড়, ধনিয়াখালি, আরামবাগ সর্বত্র এক অবস্থা।"
ভোট পরবর্তী হিংসায় হুগলি জেলাতে ৩ জন তৃণমূল সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে লকেট বলেন, হার-জিত আছেই। কিন্তু খুন বরদাস্ত নয়। এখন কি বডি গুনব? দলের কর্মীদের পাশে থাকার সময় এটা।" মুখ্যমন্ত্রী সব দলকে সংযত থাকতে বলেছেন, হিংসা ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন। সে বিষয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, "তিনি জিতেছেন। তাই তাঁকে শুভেচ্ছা। কিন্তু পুরো রাজ্যের দায়িত্ব তাঁর হাতেই। আমি জিতে গিয়েছি বলে যা খুশি করব, বিরোধী শূন্য করে দেব, এটা তো উচিত নয়। যে কোনও দলের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে। কিন্তু তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেব, এটা কি ঠিক? যারা নিজেদের নিজেদের দলকে ভালবাসে তাদের কি দোষ?" চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, "সাংসদ কয়েকটি অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও তালিকা আমাকে দেননি। হিংসা ঠেকাতে পুলিশ সতর্ক আছে।"