—ফাইল চিত্র।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের মামলায় শনিবার রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে ভবানী ভবনে ডেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হল।
ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ সাংসদকে ৮, ৯, ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ভবানী ভবনে সিআইডি সদর দফতরে গিয়ে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করতে নির্দেশ দিয়েছিল।
এ দিন বেলা ১২টা ২০ মিনিটে তিনি ভবানী ভবনে পৌঁছন। সেখান থেকে বেরোন বিকেল সওয়া ৪টেয়। তদন্তকারীরা কী জানতে চেয়েছেন সেই ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেছেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তা সত্ত্বেও তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করেছি। আমার যতটা যা জানা আছে সবই জানিয়েছি।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল ভেবেছিল, সত্যজিৎ মারা যাওয়ার পরে সহানুভূতির হাওয়ায় ওরা জিতে যাবে। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু মানুষ বিপুল ভোটে আমাকে জিতিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টার প্রতিবাদ করেছে।’’
আরও পড়ুন: শেষযাত্রায় ‘স্যরজি’, যোগ দিলেন সবাই
একটি সূত্রের দাবি, বিধায়ক খুনের অভিযুক্তদের সঙ্গে সাংসদ জগন্নাথবাবুর টেলিফোনে কথা হয়েছিল। তিনি অভিযুক্তদের কী ভাবে চেনেন এবং তাদের সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছিল, সেই বিষয়েই এ দিন প্রশ্ন করা হয় সাংসদকে।
গত বছরের ৯ ফেব্রয়ারি, সরস্বতী পুজোর আগের সন্ধ্যায় নদিয়ার হাঁসখালিতে নিজের বাড়ির কাছেই একটি ক্লাবের সাংস্কৃতির অনুষ্ঠান চলাকালীন দর্শকাসনে বসে ছিলেন সত্যজিৎ। সেখানেই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। তদন্তে নেমে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এর মধ্যে তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। দু’জনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ না মেলায় মামলা থেকে তাঁদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। খুনের ঘটনায় জগন্নাথের নাম এফআইআরে ছিল না। আদালতে পেশ করা চার্জশিটেও তাঁর নাম নেই। তবে তদন্তকারীরা ওই চার্জশিটে জানিয়েছিলেন, খুনের মামলায় দু’জনের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে তাঁদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করা হবে। সিআইডি সূত্রের খবর, আরও তদন্ত করে জগন্নাথ সরকারের
ভূমিকা খতিয়ে দেখা হয়। তদন্তকারীদের দাবি, খুনের আগে-পরে এবং ঘটনার বেশ কিছু দিন আগে অভিযুক্তদের সঙ্গে টেলিফোনে জগন্নাথের কথা হয়েছে।