রানাঘাটের সাংসদের ওপর হামলায় বিধানসভা উত্তাল করতে পারেন বিজেপি বিধায়করা। ফাইল চিত্র
রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ওপর বোমার হামলার ঘটনায় উত্তাল হতে পারে বিধানসভার অধিবেশন। তিনদিনের বিরতির পর সোমবার থেকে ফের শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথমেই দলীয় সাংসদের ওপর হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব চাইতে পারেন বিরোধীরা। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছুই বলতে নারাজ বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা। তিনি বলেছেন, ‘‘এ বিষয়ে পরিষদীয় দলের আলোচনার পরেই প্রকাশ্যে কিছু বলা সম্ভব। এখনই আমরা আমাদের রণনীতি সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছি না।’’ একই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তারপরেই স্থির হয়েছে বিধানসভায় সাংসদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদের কর্মসূচির। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই কখনও অধিবেশন কক্ষে, কখনও বাইরে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এমনকি, গত রবিবার পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত ও ঝালদাতে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর জবাব চেয়েছিল বিজেপি পরিষদীয় দল। সঙ্গে অধিবেশন কক্ষের বাইরে ধর্না দিয়েও নিজেদের দাবির স্বপক্ষে সরব হয়েছিলেন।
আর এবার আক্রান্ত হয়েছেন খোদ রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ। তাই আগামী সপ্তাহ জুড়ে বিজেপি পরিষদীয় দল ঝাঁঝালআক্রমণ শানাতে পারে সরকারপক্ষের উপর। বিজেপি-র এক বিধায়কের কথায়, ‘‘তৃণমূল ও কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় আমরা সরব হয়ে যেমন প্রতিবাদ করেছিলাম, জগন্নাথবাবুর উপর আক্রমণের ঘটনাতেও আমরা প্রতিবাদে সরব হব। কারণ আমাদের প্রতিবাদ থেকেই রাজ্যের মানুষ বুঝবে কোনও রাজনীতিকবাংলায় সুরক্ষিত নন। আর সাংসদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় প্রমাণ হয়ে গেল যে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই।’’ উল্লেখ্য শনিবার রাতেকল্যাণী থেকে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি দেখে রানাঘাটের বাড়িতে ফিরছিলেন জগন্নাথ। অভিযোগ, হরিণঘাটার মোহনপুর ফাঁড়ির কাছে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে তিনটি বোমা ছোড়া হয়। তার মধ্যে একটি বোমা ফাটে। বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁর গাড়ির উপর হামলা চালিয়েছে।