পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। ফাইল চিত্র।
১-১৮ নভেম্বর বিধানসভা অধিবেশনে সায় নেই বিজেপি বিধায়কদের। সে কথা মঙ্গলবারই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা। বিজেপি এমন আবেদন করলেও, স্পিকার কিংবা শাসক পক্ষ উভয়েই অধিবেশনের দিনক্ষণ বদলাতে নারাজ। সরকারের সেই মনোভাবের আঁচ পেয়েই এ বার পাল্টা চাল দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, বিজেপি বিধায়করা অধিবেশনে অংশ নেবেন মাত্র চার দিন। ১ অক্টোবর শোকপ্রস্তাব পাঠ করেই শেষ হয়ে যাবে অধিবেশনের কাজকর্ম। প্রথম দিনের অধিবেশনে হাজির হতে বলা হয়েছে বিজেপি বিধায়কদের। আবার অধিবেশনের শেষ তিন দিন অংশ নেবেন তাঁরা।
১৬, ১৭ ও ১৮ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে হাজির হবেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়করা। এমন সিদ্ধান্তের কারণ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, যেহেতু ২ তারিখ থেকে সনাতনী হিন্দু ও আদিবাসীদের একের পর এক উৎসব রয়েছে, তাই ওই সময় তাঁরা অধিবেশনে যোগ দেবেন না। বরং নিজেদের এলাকায় থেকে জনসংযোগের কাজে জোর দেবেন তাঁরা। ২ নভেম্বর ধনতেরস। তার পর থেকে একে একে কালীপুজো, দীপাবলি, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া ও ছটপুজোর মতো উৎসব রয়েছে। সঙ্গে চিঠিতে আদিবাসীদের দেওসি উৎসবের কথাও বলা হয়েছে। ১৫ তারিখ জগদ্ধাত্রী পুজো। বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে এমনই সব উৎসবের কথা উল্লেখ করেই জগদ্ধাত্রীর পুজোর পরে অধিবেশন ডাকার পক্ষে সওয়াল করা হয়েছিল। তাই নিজেদের যুক্তিগুলিকে সঠিক প্রমাণ করতেও, এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর। তবে বিধায়করা চাইলে অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভায় আসতে পারবেন। কিন্তু অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না, দলীয় নির্দেশের কারণেই। এক বিজেপি বিধায়কের কথায়, ‘‘দলের পক্ষ থেকে আমাদের যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আমরা সে ভাবেই চলব। তা ছাড়া উৎসবের দিনগুলিতে আমাদের এলাকাতেই বেশি সময় দিতে হয়। তাই এমনিতেই আমরা অধিবেশনে আসতে পারব না।’’
উল্লেখ্য, ১ ও ২ নভেম্বর অধিবেশন হবে। ফের অধিবেশন বসবে ৮-৯ তারিখে। ছটপুজোর জন্য ১০-১১ অধিবেশনের কাজ বন্ধ থাকবে। ১২ তারিখ শুক্রবার ফের এক দিন অধিবেশন হবে। শনি ও রবিবার ছুটির কারণে অধিবেশন হবে না। এরপর ১৬, ১৭ ও ১৮ তারিখ তিন দিনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন দিয়ে শেষ হবে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথম ও শেষ তিন দিন অংশ নেবেন বিজেপি বিধায়করা।